“কাঠবিড়ালি ! কাঠবিড়ালি ! পেয়ারা তুমি খাও ?” কবি কাজী নজরুল ইসলামের বিখ্যাত খুকি ও কাঠবিড়ালি কবিতাটি সকলের পরিচিত। সেখান থেকেই বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থী কাঠবিড়ালি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পায়।
কাঠবিড়ালি (Squirrel) Rodentia বর্গের Sciuridae গোত্রের অনেকগুলো ছোট বা মাঝারি আকারের স্তন্যপায়ী প্রজাতির অন্যতম। মূলত এই বর্গের স্কিয়ারাস এবং টামিয়াস্কিয়ারাস প্রজাতিকেই কাঠবিড়ালি বলা হয়। অস্ট্রেলিয়া ও অ্যান্টার্কটিকা ছাড়া বিশ্বের সর্বত্র কাঠবিড়ালি দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীতে কাঠবিড়ালির প্রজাতি সংখ্যা ২৭০টি।
বাংলাদেশে প্রাপ্ত কাঠবিড়ালির প্রজাতির সংখ্যা আটটি। এদের মধ্যে পাঁচডোরা কাঠবিড়ালি ও তিনডোরা কাঠবিড়ালি মানুষের সংস্পর্শে তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়। আমাদের দেশে সুন্দরবন ছাড়াও উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকার বেশির ভাগ জেলায় কাঠবিড়ালি দেখা যায়। রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর,যশোর,কুষ্টিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজবাড়ী জেলায় প্রায়ই এদের চোখে পড়ে।
সব প্রজাতির কাঠবিড়ালিরই দুই জোড়া পা আছে।সামনের জোড়া পা পেছনের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ছোট। পায়ের আঙুলে থাকে ধারালো নখ। তা দিয়ে বৃক্ষবাসী প্রজাতির কাঠবিড়ালি খুব সহজে গাছে ওঠানামা করতে পারে। পেছনের লম্বা পা তাদের লাফিয়ে চলতে সাহায্য করে। এছাড়া রয়েছে ঝাঁপালো লেজ।
কাঠবিড়ালি সাধারণত গাছের ফলমূল, বাদাম, বাকল, বাকলের নিচের পোকামাকড় খেয়ে জীবনধারণ করে।
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী কাঠবিড়ালি সংরক্ষিত প্রাণী। এটি ক্রয়, বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয়।
এস.এম/ ডিএস
মন্তব্য করুন