ডেস্ক রিপোর্ট
২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ৪:৪৮ অপরাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করা এখন লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করা এখন লক্ষ্য: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই এখন সরকারের লক্ষ্য।

 

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারী) মাতৃভাষা দিবসের সকালে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

 

এসময় বাংলা বিশ্বের ‘অন্যতম ভাষা’ মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, সারা বিশ্বে ৩৫ কোটির বেশি বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আছেন। সম্ভবত ৬ কিংবা ৭ নম্বর অবস্থানে আছে বাংলা ভাষা। আমাদের এখন লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।

 

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয় রাজপথ। ওই রক্তের দামে এসেছিল বাংলার স্বীকৃতি আর তার সিঁড়ি বেয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা।

 

আরো পড়ুন : নিজ দেশে ফিরলো বাংলাদেশে আসা ভারতীয় বন্য হাতি

 

তিনি বলেছিলেন, বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার প্রক্রিয়া ‘নিজস্ব অর্থায়নের’ শর্তের কারণে থমকে আছে।

সেই ইতিহাস তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান জেলখানায় বসে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ দিবস পালিত হবে।

 

মন্ত্রী বলেন, কানাডা প্রবাসী দুজন বাঙালির উদ্যোগ এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্বরিৎ সিদ্ধান্তে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাঠানোর পর এটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

 

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর এক ঘোষণায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। এর মধ্য দিয়ে বাঙালির সেই আত্মত্যাগের দিনটি বিশ্বের প্রতিটি মানুষের মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষার দিন হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

ভাষাভাষীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলা এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম ভাষা। সে বিবেচনায় বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করে নেওয়ার দাবি দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশ সরকারও সেই দাবির বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়েছে বিভিন্ন সময়ে।

 

তারপরও কেন তা হয়নি, তার ব্যাখ্যা তিন বছর আগে এক অনুষ্ঠানে দিয়েছিলেন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা করার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের কোনো আপত্তি নেই। তবে সেজন্য যে খরচ হবে, তা বাংলাদেশকে বহন করতে হবে। প্রাথমিক আলোচনায় সেজন্য প্রতি বছর ৬০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। মোমেন সেদিন বলেছিলেন, জাপানি, হিন্দি ও জার্মান ভাষার জন্যও একই প্রস্তাব করা হয়েছিল। নিজস্ব খরচ বহনের শর্তের কারণে সেগুলোও দাপ্তরিক ভাষা হয়নি।

 

 

আর.ডিএস

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেবীগঞ্জে স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

দেবীগঞ্জে ফারমার্স ক্লাইমেট স্মার্ট স্কুলের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত 

তাপদাহের কারনে পাইকারি বাজারে বেড়েছে মরিচের দাম

দেবীগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুলে অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার

দেবীগঞ্জে মরিচের বস্তায় ফেনসিডিল পাচারের সময় মাদক ব্যবসায়ী আটক

পরকীয়া সম্পর্ক রাখতে অস্বীকৃতি জানানোয় খুন হন শাহনাজ  

দেবীগঞ্জে যুবদল আহ্বায়কের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার 

দেবীগঞ্জে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ ছয় জুয়াড়ি আটক 

১০

পঞ্চগড় আদালতের নিয়োগে আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

১১

দেবীগঞ্জে দুইশো পিস ট্যাপেন্ডাডল ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

১২

দেবীগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়লেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি

১৩

পঞ্চগড়ে ধান ক্ষেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

১৪

দেবীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে প্রাইভেট কার চালকের মৃত্যু 

১৫

দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন

১৬

দেবীগঞ্জে বড় ভাইয়ের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু 

১৭

দেবীগঞ্জে নামসর্বস্ব সংগঠনের বিরুদ্ধে সরকারি খাল দখলের অভিযোগ 

১৮

দেবীগঞ্জে আলোচিত সেলিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

১৯

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির তিন নেতা

২০