গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ রা আগস্ট) রাতে পঞ্চগড় শহরের সোনালী ব্যাংকের ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।মৃত পুলিশ কনস্টেবল ফিরোজ আহম্মেদ সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিকুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে কনস্টেবলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “ফিরোজ আহম্মেদ দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পলি মির্জাপুর এলাকার আবু সাঈদের ছেলে। তিনি সোনালী ব্যাংক পঞ্চগড় শাখার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। নিজের কাছে থাকা রাইফেলের গুলিতে ফিরোজ আহম্মেদ আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “ফিরোজ আহম্মেদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। মৃত পুলিশ সদস্যের পরিবারকে ঘটনা জানানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।”
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, রাতে ব্যাংকের ভেতর গার্ডরুমে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন ফিরোজ আহম্মেদ। আকস্মিক বিকট শব্দ শুনে তাঁরা ভেতরে গিয়ে দেখেন ফিরোজ গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। দ্রুত তাঁকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আমির হোসেন বলেন, “গভীর রাতে গুলিবিদ্ধ ওই পুলিশ সদস্যকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে তখন রক্ত বের হচ্ছিল। তাঁর মাথায় গুলির ক্ষত ছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”
তথ্যসূত্র: আজকের পত্রিকা
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন