স্থানীয় অধিবাসী ও নিহত শিশুটির পরিবার জানায়, অভিযুক্ত ছেলেটি তারা বাবা-মায়ের সাথে ঢাকায় থাকে। সোমবার (১৭ এপ্রিল) ছেলেটি ঢাকা থেকে বাসায় ফিরে। একই এলাকায় পাশাপাশি তার মামার বাড়ি। ধর্ষণের শিকার শিশুটি সম্পর্কোন্নয়ন তার মামাতো বোন।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে অভিযুক্ত ছেলেটি তার মামাতো বোনকে খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ভুট্টা খেতে নিয়ে যায়। এই সময় বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী ছেলেটিকে মেয়েটিকে জোর করে নিয়ে যেতে দেখে। কিন্তু মামাতো-ফুপাতো ভাই-বোন হওয়ায় এলাকাবাসী বিষয়টি গুরুত্ব দেননি।
সন্ধ্যা হলেও মেয়ে বাসায় না ফেরায় খুঁজতে শুরু করে পরিবারের লোকজন। এইদিকে অভিযুক্ত ছেলেটি পার্শ্ববর্তী মসজিদে ইফতার খেয়ে মামা বাসায় ফিরে নানীর ঘরে টিভি দেখতে শুরু করে। অনেক খুঁজাখুঁজির পরও মেয়েকে না পেয়ে এশার আযানের আগমুহূর্তে স্থানীয় মসজিদে মেয়েটির হারিয়ে যাওয়ার মাইকিং করা হয়।
বিকেলে দুইজনকে ভুট্টা খেতের দিকে যেতে দেখায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে ছেলেটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বিষয়টি প্রকাশ করে। পরবর্তীতে স্থানীয়রা ছেলেটিকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে মেয়েটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এই সময় মেয়েটির পরনে প্যান্ট ছিল না। সেই সাথে যৌনাঙ্গে রক্তের দাগ দেখতে পাওয়া যায় বলে স্থানীয়রা জানান। মরদেহ খুঁজে পাওয়ার পর পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ইউএনও গোলাম ফেরদৌস, দেবীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রুনা লায়লা, ওসি (অফিসার ইনচার্জ) জামাল হোসেন।
সহকারী পুলিশ সুপার রুনা লায়লা বলেন, “খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সুরতহাল শেষে মেয়েটির মরদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। অভিযুক্ত ছেলেটিকে আমরা পুলিশি হেফাজতে নিয়েছি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা- জামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পরই মূল ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে। আমরা মেয়েটির পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখছি। তারা বাবা-মা কিছুটা স্বাভাবিক হলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন