উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে নদ নদীর পানি বেড়ে পানিবন্দি বহু মানুষ ।
উত্তরের জেলা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম এবং মধ্যাঞ্চলের শেরপুর ও নেত্রকোণাতেও নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তা ও ধরলার পানি।
ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার তিন সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে।
২৫ ইউনিয়নের শতাধিক চরে পানি উঠেছে। ইতিমধ্যে জেলার ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। কিছু কিছু চরের ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে।
চর ও দ্বীপচরগুলো প্লাবিত হওয়ায় ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা। ঘরবাড়ি তলিয়ে থাকায় অনেক পরিবার ঘরের ভেতর উঁচু মাচা ও নৌকায় দিন পার করছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ আছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। দ্রুতই পৌঁছে দেওয়া হবে।
প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পানির তোড়ে লালমনিরহাটের তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়েছে। তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে রাত থেকেই বাড়তে শুরু করে পানি।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ব্যারেজের ভাটিতে থাকা ও হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে বীজতলাসহ ফসলি জমি। বসত ভিটায় ঢুকেছে পানি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, আরও দু-একদিন তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি ও কমার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
এদিকে, টানা বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী দুই উপজেলা কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরের প্রায় ৭০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে
২৪ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে নেত্রকোণা সদরের নাগড়া, উকিল পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার নিচু বাড়ি ঘরে পানি ঢুকে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
জামালপুরে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে ভারি বৃষ্টি। এতে শহরের কাচারীপাড়া, নিউ কলেজ রোড, ফকিরপাড়া, নয়াপাড়া, পাচরাস্তার মোড়, বোসপাড়া, সরদারপাড়া, স্টেশন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাট ডুবে গেছে।
আর বৃহস্পতিবারের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমার ১৭৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে ।