সোমবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে নীলফামারী স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মাহমুদুল হাসান তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী কামরুজ্জামান শাসন বলেন, চলতি বছরের ২৩ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. হোসাইন শরীফ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। অর্থ আত্মসাতের ওই মামলায় ডোমার পৌরসভার মেয়র মো. মনছুরুল ইসলাম দানুসহ তিনজনকে আসামি করা হয়।
দুদকের আইনজীবী আরও বলেন, দুদকের করা ওই মামলায় মনছুরুল ইসলাম দানু আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার আরও দুই আসামি অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের নীলফামারী শাখার সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক রথীন্দ্র নাথ সরকার ও মো. শফিকুল ইসলাম আদালতে হাজির হননি।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি মনছুরুল ইসলাম দানুর প্রতিষ্ঠান শাওন অটো ব্রিকস লিমিটেডের নামে ১৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ঋণের মঞ্জুরিপত্রের শর্ত অনুযায়ী প্রথম কিস্তি বিতরণের পর ছাড়কৃত অর্থের ব্যবহারের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর দ্বিতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের নির্দেশনা থাকলেও অগ্রণী ব্যাংক নীলফামারী শাখার ওই দুই শাখা ব্যবস্থাপক তা মেনে নেননি। ঋণের ওই টাকা পরিশোধ হয়নি। এতে চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুদ-আসলে ২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে।
অপরদিকে ঋণ গ্রহীতা এলসির মাধ্যমে ২০১৬ সালের ২৩ জুন থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত মালামাল আমদানি করলেও বন্দর থেকে তা খালাস করেননি। যার কারণে তাঁর কাছে থেকে পোর্ট ড্যামারেজ বাবদ চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৭ কোটি টাকা পাওনা হয়েছে। যেখানে শুল্ক-কর বাবদ আরও ৪ কোটি ১০ লাখ টাকা রয়েছে। সব মিলিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ১০ লাখ টাকা পাওনা পরিশোধ না করে সরকারের আর্থিক ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ রয়েছে।
এভাবে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অগ্রণী ব্যাংক নীলফামারী শাখা এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের ৫৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধন করায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ, মনছুরুল ইসলাম দানু বর্তমানে নীলফামারীর ডোমার পৌরসভার মেয়র। তিনি তৃতীয়বারের মতো এই পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন।
এস.এম/ডিএস