পঞ্চগড়ে গত ৬ দিন থেকে দেখা মিলছে না সূর্যের, ঘন কুয়াশা আর মৃদু শ্বৈত্যপ্রবাহের দাপটে বিপর্যস্ত জনজীবন। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় পঞ্চপড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টায় রেকর্ড হয়েছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৩ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ জানান, “আজ সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। জানুয়ারি মাসজুড়ে এই এলাকায় একই রকম আবহাওয়া থাকতে পারে।”
এদিকে, সকাল থেকে বিরাজ করছে মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবিরা। পাথর-চা শ্রমিক, দিনমজুর, থেকে নানান শ্রমজীবী মানুষ। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন তারা। প্রয়োজন ছাড়াও অনেকে ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই কাজে বেড়িয়েছেন নিম্ন আয়ের পেশাজীবিরা। বিপাকে পড়েছেন চাষিরাও, শীতের প্রকোপের কারণে খেতখামারে কাজ করতে পারছেন না।
অন্যদিকে, তীব্র ঠান্ডার কারণে জেলায় বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। উপজেলা ও জেলার হাসপাতালে ঠান্ডা জনিত রোগে আক্রান্তদের মাঝে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বেশি। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
• ছবি- রাশিনুর রহমান
মন্তব্য করুন