টানা কয়েক দিন ধরে দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ৷ উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা হিমালয়ের হিম শীতল বাতাসের কারনে এ জেলায় কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা হ্রাস পায়৷ ফলে এ জেলায় দাপট বাড়ে তীব্র শীতের৷ এতে বিপাকে পড়তে হয় নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষদের।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। টানা তিন দিন ধরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, “আজ আবারো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। তবে আগামী মাসের তাপমাত্রা আর ও হ্রাস পাবে এবং শীতের আরো বৃদ্ধি পাবে।”
এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়,সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় উত্তর দিক থেকে বয়ে হিমালয়ের হিম শীতল বাতাস। সাথে কখনো থাকছে হালকা, কখনও মজারি এবং কখনও ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত। টিপটপ করে পড়ে শিশির বিন্দু। ফলে এ জেলায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। সকালে পর কিছুটা সূর্যের আলো দেখা গেলেও সূর্যের তেমন উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। যেটুকু উত্তাপ পাওয়া যায় সেটুকু কাজে লাগাচ্ছে এ জেলার খেটে খাওয়া মানুষেরা।
এ বিষয়ে কথা হয় তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজ নগর এলাকায় চা পাতা কাটতে আসা চা শ্রমিকদের সাথে। একরামুল ইসলাম নামে এক শ্রমিক বলেন, “শীতের কারণে আমরা আগের মত কাজ করতে পারছি না। সূর্যের আলোকে কাজে লাগিয়ে যেটুকু কাজ করতে পারি এতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। মানুষ কত কিছু পায় এই শীতে কিন্তু আমরা একটা পাতলা কম্বলও পাই না।”
একই কথা বলেন আরেক চা চাষী মহসিন ইসলাম, তিনি বলেন, “আগে কাজে আসতাম ভোরবেলায়। আর এখন শীতের কারণে কাজে আসতে হয় সকাল সাতটা থেকে আটটার দিকে। শীতকালে আমাদের পাতা কাটতে অনেক কষ্ট হয়। কিন্তু নিরুপায় হয়ে আমরা বাধ্য হয়ে কাজে আসি। এতো শীত করে তবুও ,কৃষক কিংবা সরকারীভাবে কোন সহযোগিতা আমরা পাই না।”
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, শীত আগমনের সাথে সাথে আমরা জেলার পাঁচ ও উপজেলায় শীত বস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। চাহিদা পত্র আবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রেরণ করা হয়েছে। যারা প্রকৃত শীতার্ত মানুষ তাদের মাঝেই এই শীত বস্ত্র বিতরন করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন