গত মে মাসেই তিনটি বাসে ডাকাতি করেন তাঁরা। এ নিয়ে ২ বছরে ১৫ বাসে ডাকাতি করেছেন ডাকাত দলের সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার আরেকটি বাসে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে র্যাবের হাতে ধরা পড়ে এই ডাকাত দলের ১০ সদস্য।
র্যাবের তথ্যমতে, ডাকাত সর্দার হীরার নেতৃত্বেই সংঘবদ্ধ এই চক্র রাজশাহী ও বেনাপোল সহ বিভিন্ন স্থানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা হানিফ পরিবহন, ন্যাশনাল ট্রাভেলস পরিবহন সহ বিভিন্ন বাসে ডাকাতি করে আসছে।
গ্রেফতার হওয়া ডাকাত চক্রের অন্য সদস্যরা হলেন মো. হাসান মোল্লা ওরফে ইশারত মোল্লা (৩৯), আরিফ প্রামাণিক ওরফে আরিফ হোসেন (৩৩), মো. নুর ইসলাম (৫৩), মো. রাজু শেখ, মো. রেজাউল সরকার (৪৯), মো. রতন (৩৬), মো. শরিফুল ইসলাম (৩৯), মো. হানিফ (৪২), মো. নজরুল ইসলাম (৩৫)। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলি, আটটি দেশি অস্ত্র, দূরপাল্লার চারটি বাসটিকিট ও তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন রোববার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের সদস্য। দলের সদস্য ১২ থেকে ১৫ জন। গ্রেপ্তার ডাকাত সর্দার হীরা ও তাঁর অন্যতম সহযোগী হাসান মোল্লা বিভিন্ন বাসে ডাকাতির পরিকল্পনা করে থাকেন। দলটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন জেলা অভিমুখী যাত্রীবাহী বাসে উঠে ডাকাতি করে আসছিল।
আল মঈন আরো বলেন, ঢাকা রুটের বাস ছাড়াও চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কে সৌদিয়া বাসে ডাকাতির সময় চক্রের কিছু সদস্য বাসচালকের হাতে ও চালকের সহকারীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন। ডাকাতির কৌশল সম্পর্কে এ র্যাব কর্মকর্তা জানান, ডাকাতির জন্য চক্রের সদস্যরা ঢাকা থেকে বিভিন্ন দূরপাল্লার আন্তজেলা বাসকে নিশানা করেন। পরে অন্য ডাকাত সদস্যরা যাত্রাপথের বিভিন্ন কাউন্টার থেকে যাত্রী সেজে বাসে উঠেন।
একপর্যায়ে পরিকল্পনা মাফিক তাঁরা নির্জন এলাকায় গিয়ে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডাকাতি শুরু করেন এবং ডাকাতি শেষে তাঁরা ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় ফিরে আসেন। ডাকাতির সময় বাসে ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তাঁরা।
গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত সদস্যদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব বলেছে, ডাকাতিতে জড়ানোর আগে ডাকাত সর্দার হীরা গার্মেন্টস পণ্য বিক্রি করতেন। তিনি ১০–১২ বছর ধরে ডাকাতি আসছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র আইনসহ সাতটি মামলা রয়েছে। ডাকাত দলের বাকী সদস্যরা বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হয়ে কারাভোগ ও করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
আর.ডিবিএস
মন্তব্য করুন