উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব প্রবীর কুমার রায়, পিপিএম (বার), পুলিশ সুপার, নড়াইল।
পুলিশ সুপার তার বক্তব্যে বলেন, বিজ্ঞান আশীর্বাদ নাকি অভিশাপ তা নির্ভর করে মানুষের সঠিক ব্যবহার বা প্রয়োগের উপর। আধুনিক যুগে তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রবাহে সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ প্রবণতা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। তোমরা সচেতনতার সাথে সোশ্যাল মিডিয়া (ফেসবুক, টুইটার) বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস সমূহ ব্যবহার করবে এবং প্রয়োজনীয় ও ইতিবাচক বিষয়গুলো গ্রহণ করবে নেতিবাচক বিষয়গুলো পরিহার করবে। এমন কোন ছবি বা ডকুমেন্টস মোবাইল ফোন বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সংরক্ষণ বা কোন বন্ধুর নিকট হস্তান্তর করা যাবে না যা পরবর্তীতে তোমাদের বিব্রত, লজ্জিত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতে হয়।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রজীবন পড়ালেখা ও জীবন গঠনের সময়। এ সময় পড়ালেখা করে পিতা মাতার মুখ উজ্জ্বল করতে হবে এবং মাতা-পিতা কষ্ট পায় বা তাদের সম্মান হানি হয় এমন কোন কাজ করা যাবে না। তোমরা কেউ বাল্যবিবাহ করবে না, পড়ালেখা করে আগে প্রতিষ্ঠিত হও, তারপর জীবনে সবকিছু ধাপে ধাপে আসবে। এছাড়া তিনি শিক্ষার্থীদের কিশোর গ্যাং/ অপরাধ, ইভটিজিং ও মাদকসহ সকল ধরনের অপরাধ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি সামাজিক ও সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অভিভাবক ও শিক্ষকগণকে অনুরোধ করেন।
মতবিনিময় সভায় জনাব এস, এম, কামরুজ্জামান, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ক্রাইম এন্ড অপস্; জনাব এস, এম, ছায়েদুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার; জনাব মীর শরিফুল হক, ডিআইও-১, জেলা বিশেষ শাখা; জনাব মোঃ শওকত কবীর, অফিসার ইনচার্জ, সদর থানা, নড়াইল এবং সাংবাদিকবৃন্দ সহ স্কুলের সকল শিক্ষকগণ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আরএইচ/দেস
মন্তব্য করুন