বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের সোনারগাঁও জনপথ সড়কের ২নং বাড়ির নিচতলায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের একটি এটিএম বুথে রাত পৌনে ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ঐ ব্যবসায়ী বুথ থেকে টাকা তুলে গোনার সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। ছিনতাইকারী তার টাকা কেড়ে নিতে চাইলে তিনি বাধা দেন। এতে ছিনতাইকারীর উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ২টার দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন : জ্বালানির দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে যা বললেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
এদিকে, ঘটনার পর ঘাতক আবদুস সামাদকে (৩৮) নিরাপত্তাকর্মী ও জনতা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। শুক্রবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে সামাদ হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
পুলিশের কাছে ও আদালতে সে জানায়, বিভিন্ন সময় সে বিভিন্ন ধরনের কাজ করত। সম্প্রতি কাজ না থাকায় সে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এজন্য সে ছিনতাইয়ে নামার সিদ্ধান্ত নেয়।
নেত্রকোনার পূর্বধলার বিশকাকলী এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে সামাদ গাজীপুরের পুবাইলের বসুগাঁও গ্রামে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকে। তার দুটি সন্তান রয়েছে। তার একটি সন্তান প্রতিবন্ধী বলেও সে জানায়। পুলিশ বলছে, সামাদ পেশাদার ছিনতাইকারী নয়। তার আগের কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন : ওসির সম্পদ অনুসন্ধানে রিট : ব্যারিস্টার সুমনকে দুদকে যেতে বললেন আদালত
উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি মহসীন জানান, ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ৮ হাজার টাকা ও একটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে। ছিনতাইকারী কোনো টাকা নিতে পারেনি।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী শরীফের বড়ভাই আনোয়ার হোসেন উত্তরা পশ্চিম থানায় হত্যা ও ছিনতাই চেষ্টার মামলা করেছেন।
আর.ডিবিএস
মন্তব্য করুন