পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ইট বোঝাই ট্রাক্টরের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে সুজন রায় (২০) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অনিত্য রায়(১৬) নামে আরেক কিশোর। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা হন।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাত পৌনে নয়টায় দেবীগঞ্জ পৌর সদরের এলএসডি গুদাম সংলগ্ন দেবীগঞ্জ-ভাউলাগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে এই ভয়াবহ দূর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সুজন রায় দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উপেনচৌকি ভাজনী সরকার পাড়া এলাকার অজিত চন্দ্র রায়ের ছেলে। সুজন রায় নীলফামারী সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে অনিত্য রায় এবং সুজন রায় মোটরসাইকেল যোগে তালতলা থেকে দেবীগঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে দেবীগঞ্জ-ভাউলাগঞ্জ সড়কের এলএসডি গুদাম সংলগ্ন এলাকায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইট বোঝাই ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হয় সুজন রায় এবং অনিত্য রায়। এলাকাবাসী গুরতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুজন রায়কে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যদিকে অনিত্য রায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। বর্তমানে অনিত্য রায় সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আফিয়া ফারজানা বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এরমধ্যে সুজন রায়কে মৃত অবস্থায় আনা হয়। এছাড়া অনিত্য রায়ের মাথায় গভীর ক্ষত ছিলো এবং অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
এবিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল থেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করায় এবং পরিবারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি সড়ক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন