ডেস্ক রিপোর্ট
২৬ মার্চ ২০২৪, ১:১৭ পূর্বাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

মহান স্বাধীনতা দিবস আজ

আজ ২৬ মার্চ, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। দীর্ঘ পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে বিশ্বের মাঝে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ ও চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপর ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।

দিনটি উপলক্ষে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনগুলোয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।

১৯৭১ সালের এই দিনে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়েছিল। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু মাতৃভূমিকে মুক্ত করার ডাক দিয়েছিলেন। তিনি শত্রু সেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন।’

তৎকালীন ইপিআরের ওয়্যারলেস থেকে বঙ্গবন্ধুর সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয় দেশের সর্বত্র। বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণায় সেদিনই ঐক্যবদ্ধ সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে গোটা জাতি। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ।

এরপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচার হত্যা, ধ্বংস ও পৈশাচিকতার বিরুদ্ধে ৯ মাসের মরণপণ লড়াইয়ে ৩০ লাখ শহীদের আত্মদানের বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলার আকাশে ওড়ে বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা। মরণপণ লড়াই ও এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় এই বিজয়। স্বাধীনতা তাই বাংলাদেশিদের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। গোটা জাতি আজ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে দেশের জন্য আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের। শ্রদ্ধা জানাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাংলার অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের।

প্রতিবছরের ন্যায় সারা দেশের স্মৃতিসৌধগুলোতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা সভা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দল ও সংগঠন এসব কর্মসূচি পালন করছে।

 

এস.এম/ডিএস

Facebook Comments Box

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পঞ্চগড়ে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত 

তাপদাহের কারনে পাইকারি বাজারে বেড়েছে মরিচের দাম

দেবীগঞ্জ টেকনিক্যাল স্কুলে অভিভাবক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপির দুই নেতা বহিষ্কার

দেবীগঞ্জে মরিচের বস্তায় ফেনসিডিল পাচারের সময় মাদক ব্যবসায়ী আটক

পরকীয়া সম্পর্ক রাখতে অস্বীকৃতি জানানোয় খুন হন শাহনাজ  

দেবীগঞ্জে যুবদল আহ্বায়কের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার 

দেবীগঞ্জে জুয়া খেলার সরঞ্জামসহ ছয় জুয়াড়ি আটক 

পঞ্চগড় আদালতের নিয়োগে আইনমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

দেবীগঞ্জে দুইশো পিস ট্যাপেন্ডাডল ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

১০

দেবীগঞ্জে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়লেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লি

১১

পঞ্চগড়ে ধান ক্ষেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

১২

দেবীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে প্রাইভেট কার চালকের মৃত্যু 

১৩

দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটি গঠন

১৪

দেবীগঞ্জে বড় ভাইয়ের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু 

১৫

দেবীগঞ্জে নামসর্বস্ব সংগঠনের বিরুদ্ধে সরকারি খাল দখলের অভিযোগ 

১৬

দেবীগঞ্জে আলোচিত সেলিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

১৭

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির তিন নেতা

১৮

দেবীগঞ্জে  উপজেলা চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল 

১৯

দেবীগঞ্জে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী রাসেল প্রধান

২০