রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পঞ্চগড়ে নৌকার মাঝি হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করেন।
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে দুইটি আসন বিদ্যমান। এর মধ্যে পঞ্চগড়-১ আসন গঠিত সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোয়ারী উপজেলা নিয়ে এবং পঞ্চগড়-২ আসন গঠিত দেবীগঞ্জ- বোদা উপজেলা নিয়ে। পঞ্চগড়-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন পান নাঈমুজ্জান ভুঁইয়া। যিনি এলাকায় নাঈমুজ্জামান মুক্তা নামে পরিচিত। অন্যদিকে পঞ্চগড়-২ আসনে মনোনয়ন মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন।
নাঈমুজ্জামান মুক্তা পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের সাবেক জনপ্রেক্ষিত কর্মকর্তা ছিলেন নাইমুজ্জামান মুক্তা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তবে সেবার দলীয় মনোনয়ন না পেলেও চলতি সংসদের পুরো সময় জুড়ে তিনি তার নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। নির্বাচনী এলাকায় একের পর এক সমাবেশ করেছেন। এই সব সমাবেশে তরুণদের সম্পৃক্ত করার মতো ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি। দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উপস্থিতি তার সমাবেশগুলোকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলে।
এইদিকে পঞ্চগড়-২ আসনে টানা পঞ্চমবারের মতো দলীয় মনোনয়ন পান নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ে রেলমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৯ সালে সর্বপ্রথম তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর টানা তিনবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন নূরুল ইসলাম সুজন। পঞ্চগড়-২ আসনে বরাবরের মতো এবারো নৌকার মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন নূরুল ইসলাম সুজন। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তিনি আগের থেকে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়লেও নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারে বরাবরই দায়িত্ববানের পরিচয় দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রায় প্রতি মাসে তিনি নির্বাচনী এলাকায় এসে এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের তদারকি ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় অব্যাহত রাখেন।
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন