বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে গত কয়েকদিন ধরে বয়ে চলেছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।একদিন পর ফের তাপমাত্রা নেমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে যা মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে গত শুক্রবার এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রোববার (২৮ জানুয়ারি ) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, “সকাল ৯ টায় জেলায় ৫ ডিগ্ৰি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমের সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর সঙ্গে তীব্র শৈত্যপ্রবাহও বইছে এ জেলায়।”
সপ্তাহজুড়ে পঞ্চগড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় ৬ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই অতি ভারী কুয়াশায় ঢেকে যায় পুরো জেলা। বিশেষ করে নদী অববাহিকা ও সড়কগুলোয় যান চলাচল ব্যাহত হয়। দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা যায়।
এদিকে লাগাতার শীতের কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষদের। কাজ কমে যাওয়ায় দিন কাটছে অভাব-অনটনের ভেতর। প্রয়াজনের বাইরে শহরের অভিজাত মানুষজন ঘর থেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষের শীত উপেক্ষা করেই কাজে যেতে হচ্ছে।
শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগ। এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন লোকজন। রোজগার কমে যাওয়ায় অনেকে টাকার অভাবে ওষুধপত্র কিনতে পারছেন না।
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন