বুধবার (১১ জানুয়ারী) বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন খারিজ করে এ আদেশ দেন।
এসময় আদালত বলেছেন, তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে জামিন বিবেচনার সুযোগ নেই। একই সঙ্গে হাইকোর্ট মামলাটির বিচার দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
এর আগে গত বছরের ৭ জানুয়ারি দুপুরে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ইফতেখার ফারদিন দিহান। পরবর্তীতে জানা যায়, আনুশকা দিহানের বাসাতেই ছিল। সেখানেই অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার রাতেই কলাবাগান থানায় দিহানকে আসামি করে মামলা করেন আনুশকার বাবা মো. আল আমিন। আনুশকাকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করা হয়। পরদিন ৮ জানুয়ারি দিহানকে আদালতে তোলা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে দিহান কারাগারেই আছে। মামলাটি এখন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
মন্তব্য করুন