সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার গোবিন্দগুরু তফশিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর শূন্য পদে নিয়োগের প্রেক্ষিতে রবিবার (২৫ডিসেম্বর) নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করে নিয়োগ কমিটি। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অর্থ লেনদেনের অভিযোগ তুলে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ করতে থাকে এলাকাবাসী। শুধু তাই নয়, ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক অমৃত কুমার রায় ও সভাপতি জাকির হোসেনকে স্কুলে অবরুদ্ধ করে রেখে স্কুলের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। তাদের অভিযোগ স্কুলের জমি দাতা সদস্যদের নিয়োগ না দিয়ে বাইরের লোকের কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে নিয়োগ দেবার চেষ্টা করছে নিয়োগ কমিটি।
জানা গেছে, গোবিন্দগুরু তফশিলি উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী ১ জন, নৈশ প্রহরী ১জন , পরিছন্নতাকর্মী১জন ও আয়া ১জন সহ ৪টি পদের নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তির বিপরিতে ৩১ জন আবেদন করেন। সে অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহনের জন্য ডিজির প্রতিনিধি সহ পূর্ণাঙ্গ নিয়োগ কমিটি গঠন করে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ম্যানেজিং কমিটির দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে কমিটির নিয়োগ প্রক্রিয়াসহ যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিতের আদালতে অভিযোগ করেন একই এলাকার ভবেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে ভূপাল চন্দ্র রায়। এতে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়।
স্কুলের জমি দাতার পুত্রবধু দাবি করে সাবেক ইউপি সদস্য সোনা রানী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সামনেই অর্থ লেনদেনের অভিযোগ তুলেন। তিনি বলেন, “সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিদিষ্ট প্রার্থীদের নিয়োগের প্রক্রিয়া করছেন।”
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করে সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, “আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ প্রমান করতে পারলে সভাপতি পদ ছেড়ে দিবো।”
প্রধান শিক্ষক- অমৃত কুমার রায় বলেন, “৪টি পদের বিপরীতে ৩১জন আবেদন করেছে। এখনো পরীক্ষা নেওয়া হয়নি আমরা অনিয়ম করলাম কখন!!”
নিয়োগ কমিটিতে নিযুক্ত ডিজির প্রতিনিধি মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, “নিয়োগ পরীক্ষা নিতেই এসেছিলাম। তবে, যেহেতু পরীক্ষা গ্রহণের অনুকূল পরিবেশ নেই, সেজন্য নিয়োগ পরীক্ষা আপাতত স্থগিত করা হলো।”
এ বিষয়ে জানতে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা- পারভিন আক্তার বানুকে একাধিকবার কল ও এসএমএস করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা- শাহিন আক্তার বলেন, “অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি করা হবে।”
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন