গত ২৯ সেপ্টেম্বর এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নাহিদুল ইসলাম সজিবকে (৩৩) গ্রেফতার করেছে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। তাকে গত বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ওই ভাড়াটিয়া একজন স্যানিটারি মিস্ত্রি এবং তার স্ত্রী একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে তারা প্রতিদিনের মতো মেয়েকে বাসায় একা রেখে কর্মস্থলে যান। ওই দিন সকাল সাড়ে ৮টায় বাড়িওয়ালার ছেলে সজিব মেয়েটিকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মামলার ঝামেলা থেকে রক্ষা পেতে একটি অলিখিত স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক মেয়েটির স্বাক্ষর নেয়।
কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করল অ্যাম্বুলেন্সচালক
এ ঘটনা জানাজানি হলে ভাড়াটিয়া পরিবারটিকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অবশেষে মেয়েটির অসহায় বাবা নিরুপায় হয়ে গত বৃহস্পতিবার টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই মামলার একমাত্র আসামি নাহিদুল ইসলাম সজিবকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয়রা জানান, বখাটে নাহিদুল ইসলাম সজিব ডিশ অফিসের লাইনম্যান হিসেবে কাজ করেন। তিনি ইতোমধ্যে ৩-৪টি বিবাহ করেছেন। বখাটেপনা ও মাদক সেবনের কারণে তার প্রতিটি সংসারই ভেঙে গেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।