এ ঘটনায় রবিবার (২ অক্টেবর) সন্ধ্যায় ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর নানি বাদী হয়ে অভিযুক্ত জীবন মিয়াকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর বাড়ি সরাইল উপজেলার দেওড়া গ্রামে। অভিযুক্ত জীবন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পশ্চিম মেড্ডার হারুন মিয়ার ছেলে। জীবন মিয়া একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক। কিশোরী ও তার নানি পৌর এলাকার বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে।
বাসায় ওষুধ দিতে এসে স্কুল শিক্ষিকাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ,
গত ১ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের পশ্চিম মেড্ডায় সকালে ওই কিশোরী রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকাবস্থায় জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে পৌর শহরের পশ্চিম পাইকপাড়ায় বোডিং মাঠ এলাকায় তাকে ধর্ষণ করে জীবন মিয়া।
এ বিষয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম আকন্দ জানান, আমি একটি চুরির মামলার তদন্তের জন্য বেরিয়ে ছিলাম। পথে কয়েকজন কিশোর আমাকে থামায় । তারা আমাকে জানায়, একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে জোরপূর্বক এক কিশোরীকে উঠিয়ে নিয়ে গেছে চালক।
তাদের সহযোগিতায় অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্স চালককে আটক করি, পরে উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে। ভিকটিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধারের পরই ধারণা করা হচ্ছিল তাকে যৌন নিপীড়ণ করা হয়েছে।
উদ্ধারের পর কিশোরী জানায়, অ্যাম্বুলেন্স চালক তাকে দুইবার ধর্ষণ করেছে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরাও জানান কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
পরে কিশোরীর নানি বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত অ্যাম্বুলেন্সচালককে রোববার বিকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। আলামত হিসেবে অ্যাম্বুলেন্সটি জব্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন