অনামিকা.....
তোমার এই মায়াবীনি কপালে ছোট্ট কালো টিপ পরার ব্যপারটা না বেশ মুগ্ধ করে আমায় ।
চোখের ওই কালোমনি আর তোমার ডাগর চোখের চাহনি যেন এই কালো টিপকে আরো বেশি সৌন্দর্যের আকৃষ্ট করে আমার চোখে ।
তোমার এলোমেলো চুলগুলো যখন হাল্কা বাতাসে তোমার মুখের সামনে এসে পড়ে ।তোমার এই এলোমেলো চুল গুলো দেখে তোমায় ছোঁয়ার ইচ্ছেরা জাগে ।
যখন আমি তোমার সেই এলোমেলো চুল গুলো হাত দিয়ে বুলি, তখন তুমি অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে হাসো ।
তখন তোমার সেই মিষ্টি হাসিটা দেখেই আমি পাগল হয়ে যাই !
আচ্ছা অনামিকা.....!
এমন করো কেন তুমি ?
এমন করে কেন পাগল করো আমায় ?
সারাক্ষণ তো এমনিতেই তোমার চিন্তায় বিভোর থাকি , তবুও শান্তি পাওনা বুঝি ?
কপালে কালো টিপ আর কালো শাড়ি পরা অবস্থায় যখন তোমায় দেখি ,
তখন মনে হয় তোমার মনকে জয় করে বসি আমি ।
অনামিকা............
তখন আর , কবিতায় ছন্দ না খুঁজে আমি তোমার মনের সাথে ছন্দে মিলিয়ে যাই ।
তোমায় যখন দেখি , তখন আর লেখক হতে ইচ্ছে করে না !
মনে হয় আমি তোমার হয়ে যেন থাকি সারাজীবন ।
অনামিকা ইচ্ছে করে......
আমি তোমার প্রিয় হয়ে থাকি ,
খুব কাছের একটা মানুষ হই , তোমার ভরসার চোখ হই !
যাকে চোখে হারানো যায় না , তোমার চোখের একজন হয়ে থাকি , যেমন ভাবে তোমার কপালে সেই কালো টিপ শোভা পায় ।
সেরকম আমিও থাকতে চায় তোমার পুরো শরীরে একা ।
হারাতেও মন চায় না ! ভয় হয়, প্রচন্ড ভয় ! তোমাকে না পাওয়ার ।
অনামিকা............
আমি চাই , আমাকে হুট করেই হারিয়ে ফেলার ভয়টা তোমার মনে সর্বদা কাজ করুক !
এত করে তোমাকে বুঝাতে গিয়েও বুঝাতে পারিনা , কতটা তোমাকে ভালোবাসি-ভালোবাসতে ইচ্ছে করে তোমায়।
আচ্ছা... আর কি করলে তোমায় খুঁজে পাবো ?
যাই হোক, তোমার ভালোবাসা নাহয় আমি খুঁজেই যাবো । খুঁজে যাবো তোমাকে ।
অনামিকা........
কতটা ভালোবাসি এটা না হয় নাইবা প্রকাশ করলাম , অন্তত তুমি আমাকে ক্ষণে ক্ষণে মুগ্ধ করো ।
কপালে ছোট্ট কালো টিপে, কখনো কখনো শাড়ির সৌন্দর্যে, কখনো এলোমেলো চুলে, আবার কখনো কখনো তোমার মুখের মিষ্টি হাসি দিয়ে আমায় বারবার তোমার প্রেমে ফেলো, তোমার ওই মধুর কন্ঠস্বরে।
আমিও তোমার প্রেমে পরতে চাই , আমিও তোমায় ভালোবাসতে চাই , তোমার কাঁধে কাঁধ রেখে বসে থাকতে চাই ।
তোমার ওই আঙ্গুলের ছোঁয়ায় বহুখানি পথ হাঁটতে চাই । তোমার ওই কপালের কালো টিপের মতো আমিও একা থাকতে চাই , তোমার দু'চোখে, তোমার হৃদয়ে ।
অনামিকা.....
-ইচ্ছার বিরুদ্ধে