দুজনই দেশের স্বনামধন্য তারকা। গান, অভিনয় সবকিছুতেই দর্শকের কাছে সমাদৃত হয়েছেন, তবে তার থেকেও তারা বেশি জনপ্রিয় ছিলেন আদর্শ জুটি হিসেবে। তাহসান খান ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। জুটি থেকে বেশ কয়েক বছর আলাদা হয়েছেন তারা। কিন্তু গায়ক তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সম্পর্ক নিয়ে নানা কথা চাউর হয়। মিথিলার প্রেমিক হিসেবে যাদের নাম আলোচনায় আসে, এদের মধ্যে ‘ব্ল্যাক’খ্যাত তারকা জন কবির অন্যতম। মিথিলা ও জন কবিরের মধ্যে বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। দুজনের মধ্যে ভালো বোঝাপড়াও আছে।
বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল এ দুই তারকার কিছু ছবি নিয়ে গুঞ্জনে মাতেন কেউ কেউ। তাদের নিয়ে অনেক মুখরোচক চর্চা হতে দেখা গেছে সামাজিক মাধ্যমে। এমন গুঞ্জনও শোনা গেছে, তাহসানের সঙ্গে মিথিলার সংসার ভাঙার নেপথ্যে নাকি জন! যদিও এসব গুঞ্জনের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। জন-মিথিলা সবসময়ই বলে এসেছেন তারা একে অপরের ভালো বন্ধু। এ ছাড়া আর কিছুই নয়। একাধিকবার নিজেদের সুসম্পর্কের বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন তারা। কিন্তু তাতেও গুঞ্জনের আগুনে ছাইচাপা দেওয়া যায়নি। এবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির মুখোমুখি হয়ে বিষয়টি আরও স্পষ্ট করলেন জন কবির।
সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তাহসান ও মিথিলার সঙ্গে তার সম্পর্কের নানা খুঁটিনাটি বিষয়। এই ব্যান্ড তারকা বলেন, ‘মিথিলা আমার কিরকম বন্ধু, সেটি আমার আব্বু, আম্মু সবাই জানত। সম্পর্কের গুঞ্জনের ব্যাপারটা শুনে আমার আম্মু সবচেয়ে অবাক হয়েছিলেন। তিনি বলতেন, মানুষের কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে! তখন আমি আম্মুকে বুঝিয়ে বলতাম, মানুষ তো আমাদের পারসোনালি চেনে না। তাই এ রকম গল্প ছড়ায়। আসলে মানুষ গল্প বানাতে খুব পছন্দ করে।’
এমন সব গুঞ্জনকে পাত্তা দেন না মন্তব্য করে জন কবির বলেন, ‘মিথিলার সঙ্গে বন্ধুত্বটা কিন্তু তাহসানের মাধ্যমেই। যারা মিথিলার সঙ্গে আমার সম্পর্কের কথা ভাবেন, তারা হয়তো এটা ভেবেই মজা পান। কিন্তু সেটিকে আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়াটা সমস্যা। আমি তো জানি, আমার জীবনটা আমি যাপন করছি, মিথিলা তার জীবন। আপনাদের কথায় তো আমাদের জীবন পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে না। আপনারা যদি এসব গুঞ্জন ছড়িয়ে মজা পান, সেটা আপনাদের জন্য ভালো। কিন্তু আমাদের এতে কিছুই আসে-যায় না। কারণ, আমি, মিথিলা তাহসান ভালো করেই জানি, আমরা কেমন।’
এদিকে, ব্ল্যাক ছাড়ার কারণও জানিয়েছেন জন। যেখানে তিনি জানান, তাহসান ও টনির চিন্তা ছিল তারাই দলটা তৈরি করেছে। তবে শুরুতে এমন কোনো চিন্তা নিয়ে দল হয়নি। এরকম দ্বন্দ্ব থেকেই ব্ল্যাকের ভাঙন। ব্ল্যাক ছেড়ে অনেক দিন ধরে ইন্দালো নামের ব্যান্ড নিয়ে কাজ করছেন জন। যদিও এখনো সংগীতপ্রেমীরা তাকে ব্ল্যাকের জন বলেই জানে।