আমি চলে গেলে আমার নামে একটা তারা বানিয়ে দেবে সৌমেনদা,' প্রযোজকের কাছে এমনই আবদার করেছিলেন অভিষেক। কিন্তু এমনটা কেন বলেছিলেন তিনি? প্রয়াত টালি অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের নামে উৎসর্গ করা হলো ‘নক্ষত্র’।
সৌজন্যে অভিষেকের অভিনীত শেষ সিনেমার প্রযোজক সৌমেন চট্টোপাধ্যায়। আবেগপ্রবণ অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা ও কন্যা সাইনা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়ে জানান সৌমেন চট্টোপাধ্যায়। অভিষেকের আবদার ‘আমি চলে গেলে আমার নামে একটা তারা বানিয়ে দেবে সৌমেনদা,' প্রযোজকের কাছে এমনই আবদার করেছিলেন অভিষেক।
আরো পড়ুন:আবার ও বেবি বাম্পের ছবি প্রকাশ করলেন পরীমনি
কিন্তু এমনটা কেন বলেছিলেন তিনি? আসলে সৌমেনবাবু এর আগে তার বাবা-মায়ের নামেও এভাবে তারা উৎসর্গ করেছিলেন। সেই তারার নাম তাপসী-সন্তোষ। তার থেকে এ বিষয়টা জানতে পারেন অভিষেক। সেটা শুনেই এমন আর্জি করেছিলেন। বিষয়টা হাল্কাভাবেই নিয়েছিলেন সৌমেনবাবু। কিন্তু এভাবে যে শিগগিরই তাকে সেটা করতে হবে, তা ভাবতেও পারেননি তিনি।
প্রযোজক জানালেন, ‘আমি নিজে ক্যানসারের রোগী। আর ও চলে গেল আমার আগে! কিছুতেই ভুলতে পারছি না। আমি অভিষেকের ইচ্ছেটুকু রাখতে পেরেছি মাত্র।' ইউনিকর্ন নক্ষত্রপুঞ্জের একটি তারাকে উৎসর্গ করা হয়েছে অভিষেকের নামে।
কীভাবে কারও নামে নক্ষত্র উৎসর্গ করতে হয়? বহু বেসরকারি সংস্থা টাকার বিনিময়ে এ ধরনের পরিষেবা দেয়। এখন অনলাইনেও কারও জন্য কোনও তারা উৎসর্গ করা সম্ভব।
আরো পড়ুন:৫১তম বাজেট উপস্থাপন: দাম কমবে যেসব পণ্যের
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, জ্যোতির্বিজ্ঞানের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই। এটি প্রতীকী শ্রদ্ধা, ভালোবাসা জানানোর পদ্ধতি। অনেকটা চাঁদে জমি কেনার মতোই। জ্যোতির্বিজ্ঞানে কীভাবে তারার নামকরণ হয়? ১৯২২ সালে রোমে ইন্টারন্যাশানাল অ্যাস্ট্রোনমিকাল ইউনিয়নের প্রথম অধিবেশন হয়। সেই থেকে IAU-ই নক্ষত্রের নাম এবং সংক্ষিপ্ত রূপ প্রদান করে। IAU কমিটি বা ওয়ার্কিং গ্রুপ এ সিদ্ধান্ত নেয়। চলতি বছর ২৪ মার্চ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রয়াত হন।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস