পঞ্চগড়ের গ্রাহকের প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল বিচারক অর্গাম কার্জি'র আদালতে তোলা হলে তিনি এ রায় দেন।
এর আগে ২০২১ সালে একই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক বিধান কুমার ভৌমিক পঞ্চগড়ের বোদা আমলি আদালত-৩ এ মামলা দায়ের করলে পুলিশের দায়ের করা পিটিশনে ঢাকার একটি কারাগার থেকে সকালে তাকে পঞ্চগড়ে আনা হয়।
আটক তাজুল ইসলাম ঢাকা ধানমন্ডি ফিয়ারি স্প্রিং এলাকার মৌলভি মো. বদু মিয়ার ছেলে।
মামলার এজাহারে জানা যায়, আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের সহকারীরা সাধারণ মানুষদের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করলে গ্রাহকেরা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাংকে প্রায় ৩ কোটি টাকা জমা করেন। এর মাঝে চেয়ারম্যানের নির্দেশে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড পঞ্চগড় শাখায় ১ কোটি ৮ লাখ টাকা প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়।
এর পর থেকে টাকার সুদ বৃদ্ধি হতে থাকলে তা পরিশোধের জন্য ব্যবস্থাপক বিধান কুমার ভোমিক প্রধান কার্যালয়কে জানালে বিভিন্ন ব্যয়সহ টাকা ফেরত দেওয়া হবে না বলে জানায়।
এদিকে গণমাধ্যমে গ্রাহকের ৩০ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অবগত হয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষে গিয়ে আদালতে চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন তিনি।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর তাজুল ইসলামের নামে ঢাকার রমনা থানায় গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎসহ প্রতারণার মামলা দায়ের হয়। চলতি বছরের ২৬ জুলাই আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স অ্যান্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেডের ও সাবেক এ সিসি এফ ব্যাংক লিমিটেড পঞ্চগড় বোদা শাখার ব্যবস্থাপক বিধান কুমার ভোমিক ২০২১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রতারণার অভিযোগ তুলে পঞ্চগড়ে মামলা দায়ের করলে পুলিশের দায়ের করা পিটিশনে মঙ্গলবার তাকে ঢাকার কারাগার থেকে পঞ্চগড়ে আনলে বিচারক আবারো কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন। তবে তাজুল ইসলামের নামে দেশের বিভিন্ন জেলায় মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
তথ্যসূত্র: বাংলা নিউজ টুয়েন্টিফোর
এস.এম/ডিএস