পঞ্চগড়ে “আধুনিক প্রযুক্তিতে লাভজনকভাবে আখের সাথে সাথীফসল চাষাবাদ” শীর্ষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে জেলার বোদা উপজেলার বেংহারী বনগ্রাম ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউট-ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক কেন্দ্রের বাস্তবায়নে ও আখের সাথে সাথী ফসল ডাল, মসলা, ও সবজি জাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্পের অর্থায়নে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ রিসার্স ইন্সটিটিউট-এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবু তাহের সোহেলের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুগারক্রপ রিসার্স ইন্সটিটিউট-এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আতাউর রহমান।
মাঠ দিবসের আলোচনায় ইসলামপুর গ্রামের আখচাষী মোঃ বুলু জানান, তিনি ৫ বিঘা জমিতে আখের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ফুলকপি চাষ করছেন। ইতোমধ্যে ফুলকপি বিক্রয় উপযোগী হয়েছে। তিনি আশা করছেন, ফুলকপি বিক্রি করে তিনি দুই লক্ষ টাকা পাবেন। এছাড়া আগামী বছর মিলের মাড়াই মৌসুমে আখ বিক্রি করতে পারবেন। তাকে সার, বীজ, কীটনাশকসহ সমস্ত উপকরণ দিয়ে সহযোগিতা করছেন আঞ্চলিক সুগারক্রপ গবেষণা কেন্দ্র- ঠাকুরগাঁও। তিনি আরো জানান, সাথী ফসল চাষ করার কারনে তিনি গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ লাভবান হবেন বলে আশা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আতাউর রহমান বলেন, “আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো জমির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষককে লাভবান করা। পূর্বে আখের জমির দুই সারির মাঝের ফাঁকা জায়গা অব্যাহৃত পড়ে থাকতো, এখন সাথী ফসল চাষের মাধ্যমে চাষীরা প্রায় একই পরিশ্রমে একাধিক ফসল তুলতে পারছেন”।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ সুগারক্রপ ইন্সটিটিউট-এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. গাজী মো. আকরাম হোসেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইন্সটিটিউট আঞ্চলিক কেন্দ্র ঠাকুরগাঁওয়ের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও স্টেশন ইনচার্জ ড. আনিসুর রহমান, উর্ধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সোহরাব হোসেন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, পঞ্চগড় সুগার মিলের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এদিন মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় ঠাকুগাঁও চিনিকলের ৭০ জন আখ চাষী অংশগ্রহণ করেন।
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন