শুক্রবার ( ২৮ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের ঘোড়ামারা কলোনী পাড়া এলাকার তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে বোদা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় দুই যুবককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ওই মাদরাসা ছাত্রীর বাড়ি উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নে। সে দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের একটি আলিম মাদরাসার ছাত্রী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের ঘোড়ামারা কলোনী পাড়া এলাকার আব্দুল সিদ্দিকের ছেলে ফিরোজ আলী (২৭) ও একই এলাকার রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে মারুফ হোসেন (২১)।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই মাদরাসা ছাত্রী মাদরাসায় প্রাইভেট পড়ে দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ এলাকা থেকে সন্ধ্যার দিকে বাসায় ফিরছিল। পরে সে বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের সাকাতী পাড়া এলাকায় পৌঁছলে ফিরোজ ও মারুফ নামে স্থানীয় দুই যুবক তাকে মারুফ হোসেন (আইনজীবি) নামে স্থানীয় এক ব্যাক্তির চা বাগানে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তারা ওই মাদরাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা করলে তার চিৎকারে ফিরোজ ও মারুফ পালিয়ে যায়। পরে ওই মাদরাসা ছাত্রী বাসায় গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানায়। পরে ওই মাদরাসা ছাত্রীর বাবা শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই দুই যুবককে আসামী করে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মাদরাসা ছাত্রীর বাবা বলেন, আজকে সমাজে মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়। আমার মেয়েকে যারা এভাবে ক্ষতির চেষ্টা করেছে তাদের আমি দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি আদালতের কাছে। যেন আর কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বোদা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, "২২ ধারায় ওই মাদরাসা ছাত্রীর জবানবন্দী নেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই যুবক তাদের দোষ শিকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে তাদের আদালতের মাধ্যেমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।"
এস.এম/ডিএস