পালিত গরুকে আক্রমণ করে হত্যা করার ক্ষোভে ওই গরুতে বিষ প্রয়োগ করে নদীর পাশে ফেলে রাখলে তা খেয়ে বিষক্রিয়ায় বাঘটির মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। চিতাবাঘটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আটোয়ারী প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তোড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নাম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে দ্বারখোর এলাকার আকবর আলীর গরুটি হিংস্র প্রাণীর আক্রমণে মারা যায়। গরুটি অন্য ব্যক্তির। তিনি লালন পালন করতেন। গরুটিকে এই ক্ষোভে মৃত গরুটিতে বিষ প্রয়োগ করে নদীর পাড়ে ফেলে রাখেন আকবর। তার ধারণা ছিলো শেয়ালে আক্রমণ করে গরুটিকে মেরে ফেলেছে। মানুষ ধারণা করছে বাঘটি বিষাক্ত গরুটিকে খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে দ্বাড়খোড় সীমান্তের নাগর নদী সংলগ্ন ঈদগাহ এলাকায় নদীতে পানি খেতে এসে নদীর পাড়ে পড়ে যায় বাঘটি। সকালে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় কয়েকজন বাঘটিকে নদীর পানিতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ স্থানীয় প্রশাসন ও বনবিভাগে খবর দেয়। বন বিভাগের কর্মীরা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঘটিকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে আটোয়ারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেদুল হাসান বলেন, "আমরা উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।"
এদিকে পঞ্চগড় সামাজিক বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মধুসুধন বর্মন বলেন, "চিতাবাঘটি ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। আমরা বাঘটিকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। ময়নাতদন্ত শেষে বাঘটিকে বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরে রাখার জন্য পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।"
আর.ডিএস