রোববার (৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বোদা ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া নাসির মন্ডলহাট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত প্রদীপ ওই এলাকার মৃত মহেশ চন্দ্র বর্মনের ছেলে। এসময় বজ্রপাতে প্রদীপের কাকাতো ভাই স্বপন চন্দ্র বর্মণ (৩০) আহত হয়েছেন। তিনি ওই এলাকার মৃত কৃপানাথ বর্মণের ছেলে। প্রদীপ পেশায় একজন কৃষক।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে প্রদীপ তার কাকাতো ভাই স্বপনকে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে মাছ ধরতে যান। প্রদীপ পুকুরে নেমে জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন আর স্বপন পুকুরের ধারে মাছ কুড়ানোর কাজ করছিলেন। তাদের মাছ ধরার এক পর্যায়ে মুষলধারে বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটলে পুকুরেই অচেতন হয়ে পড়ে যান প্রদীপ। এসময় বজ্রপাতের আলো ও শব্দে স্বপনও আহত হন। পরে সে আহত অবস্থায় দ্রুত প্রদীপের বাসায় ছুটে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা প্রদীপকে দ্রুত উদ্ধার করে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদমান সাকিব তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার কিছু সময় পরে কানে কিছু শুনতে না পেয়ে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন আহত স্বপন। পরে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতেই বাড়ি ফেরেন তিনি।
বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদমান সাকিব জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই প্রদীপের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতে নিহত প্রদীপের পিঠের চামড়া পুড়ে গেছে। তার পিঠের চামড়া থেকে পোড়া গন্ধ বের হচ্ছিল। বজ্রপাতে তার পরনের শার্টের পেছনের অংশ ছিড়ে যায়। আর আহত অপর যুবক স্বপন ঘটনার কিছু সময় পরে কানে শুনতে না পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেনি তিনি।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা- অজয় কুমার রায় বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এস.এম/ডিএস