বৃহস্পতিবার(১৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের সোনাপাড়া এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এসময় তার সাথে থাকা মুঠোফোন ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত হাসির উদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় কাদেরপুর বাজারের উদ্দেশ্যে যান সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বারেক। রাত ১০টার মধ্যে বাসায় না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও বন্ধ পান। পরে পরিবারের সদস্যদের ধারণা হয় পাশবর্তী গ্রামে পালাগান শুনতে গেছেন তিনি। তবে রাত ভোর হতে শুরু হলেও তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালের বাড়ির কাছের একটি ধানক্ষেতে (কেটে বিছিয়ে রাখা ক্ষেত) বারেকের বড় ভাবী হামিদা বেগম তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। পরে পরিবারের সদস্যরা ছুঁটে গিয়ে ঘটনাস্থলে তাঁর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে বোদা থানা পুলিশে খবর দেয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তবে এটি হত্যা কিনা তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় বোদা থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, পুলিশ সুপার- এসএস সিরাজুল হুদা;সহকারী পুলিশ সুপার- (দেবীগঞ্জ সার্কেল) রুনা লায়লা; বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)- সুজয় রায়।
নিহত আব্দুল বারেকের ছোট ছেলে রাজু ইসলাম বলেন, “আমার বাবা বুধবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত না ফেরায় তাকে কল করে মোবাইল বন্ধ পাই। আমরা মনে করেছিলাম তিনি পাশের গ্রামে পালাগান শুনতে গেছেন। পরে সকালে আমাদের বাড়ির পাশের একটি ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহ দেখতে পাই। জানিনা কে আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ যেন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসে। তাদের যেন দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হয়।”
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার- এসএস সিরাজুল হুদা বলেন, “সাবেক এই ইউপি সদস্যর মরদেহের সুরতহালে আমরা তেমন কোন আলামত পাইনি। ঘটনার রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে পুলিশ। বোদা থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।”
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন