এদিকে আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষনগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ৷
এদিকে সরজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তর দিক থেকে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে৷ চারপাশে কু্য়াছন্ন পরিবেশের সাথে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। মধ্যে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ৷ সকালের পর সূর্যের আলো দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ ছড়াচ্ছে না৷ ফলে শীতের কারনে দূর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা। শীতের কারনে যেতে পারেন না অনেকেই কাজে। কারন এ জেলার নিম্ন আয়ের মানুষরা বেশীর ভাগ পাথর,চা শ্রমিক ও দিনমজুর। ফলে শীতে কাহিল তারাও।
এবিষয়ে কথা হয় জেলার সদর উপজেলার চা শ্রমিক রুবেল হোসেনের সাথে।তিনি বলেন, "কয়েক দিনের তুলনায় কুয়াশা কিছুটা কমলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা । আমরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না শীতের কারনে।"
একই কথা বলেন তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের পাথর শ্রমিক আব্দুস সামাদ। তিনি বলেন,"আমরা শীতের কারনে নদীতে নেমে কাজ করতে পারছি না। আমরাদের কেউ খোঁজ খবরও নেয় না তাই এইসময়ে শীতবস্ত্র দিয়ে কেউ সহযোগী করলে আমরা উপকৃত হতাম৷"
এদিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, "এ জেলা থেকে হিমালয় অনেক কাছে অবস্থিত হওয়ার কারনে প্রতিবছর তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং শীতের তীব্রতা বেশী থাকে। যে তাপমাত্রা বিরাজ করছে তা আরও হ্রাস পাবে এবং শীতের প্রকোপও বৃদ্ধি পাবে।"
এদিকে জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, "প্রতি বছর এ জেলায় শীত বেশী থাকে৷ এবারো শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরন শুরু করেছি। এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। যারা প্রকৃত গরীব,অসহায় ও শীতার্ত তাদের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরন করা হচ্ছে।"
আর/ডি.এস