প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৩, ২০২৪, ২:২২ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জানুয়ারী ১৮, ২০২৩, ৪:৫৪ পি.এম
শৃঙ্খলার পাশাপাশি সবুজের নান্দনিকতায় ফিরেছে দেবীগঞ্জ ভূমি অফিস
মূল ফটক দিয়ে প্রবেশের পর বাগানের জন্য কিছু জায়গা দেওয়ালে ঘেরা। এরপর কিছুটা সামনে এগুলেই মূল ভবন৷ তার সামনে একই ভাবে বাগানের জন্য কিছু জায়গা রাখা। দীর্ঘদিন নিয়মিত কর্মকর্তা না থাকায় অবহেলা আর অযন্তে প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল বাগানের জায়গাটুকু। এটা ছিল পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের চিত্র।
তবে এখন কেউ আসলে আগের সাথে মেলাতে পারবেন না। গেল বছরের জুনে উপজেলা ভূমি অফিসে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে গোলাম রব্বানী সরদারের যোগদানের পর চিত্র বদলাতে শুরু করেছে ভূমি অফিসের।
দাফতরিক কাজে শৃঙ্খলা নিশ্চিতে যেমন সতর্ক হয়েছেন তেমনি অফিসের নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলতেও মনযোগী হয়েছেন। সম্প্রতি অফিসের দুই পাশে বাগানের জন্য নির্ধারিত স্থানেও দেখা মিলেছে সবুজের।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রব্বানী সরদারের উদ্যোগে বাগানের জন্য নির্ধারিত জায়গায় এখন হরেক রকম সবজির চারা শোভা পাচ্ছে। মাস খানেক আগে এখানে করল্লা, লাল শাক, সীম, গাজর, লাফা শাক, ক্যাপসিকাম, মরিচ, সরিষা, পালং, পেঁপে, লাউয়ের বীজ ফেলা হয়েছে। নিয়মিত সেচ আর পরিচর্যায় মিশ্র সবজির চারাগুলো এখন বাড়ন্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ১৫-২০ দিন পর এখান থেকে প্রাপ্ত সবজি খাওয়ার উপযোগী হবে।
তবে ফুলের বাগান না করে সবজি বাগান করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন ভূমি অফিসের সেবাগ্রহীতারা। কাঞ্চন রায় নামে একজন সেবাগ্রহীতা বলেন, "ফুলের বাগান করা ব্যয়বহুল। তার থেকে একই খরচে সবজি বাগান করায় অফিস চত্বরের শোভা যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি এখানকার কর্মচারীদের কিছুটা হলেও সবজির চাহিদা পূরণ হবে।" একই কথা বলেন শমসের আলী নামে ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধ। তিনি বলেন, "অল্প জায়গায় হরেক রকমের সবজি চাষ দেখে বেশ ভাল লাগলো। শোভা বর্ধনের পাশাপাশি খাদ্যের যোগান নিশ্চিতে আমাদের মনযোগী হওয়া উচিত। তবে মাটির উর্বরতা ঠিক থাকলে সবজিগুলো আরো ভালো হবে।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম রব্বানী সরদার বলেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না। বৈরী বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়নে আমাদের এই চেষ্টা ক্ষুদ্র পরিসরে। এছাড়া মান্যবর জেলা প্রশাসক স্যার বলেছেন যে, উপজেলা ভূমি অফিসগুলোতে উৎপাদিত শাকসবজি ও ফসল কর্মরত কর্মচারীদের চাহিদা অনেকাংশে পূরণ করবে এবং আর্থিক সাশ্রয় ঘটিয়ে সরকারের সংকোচন নীতি বাস্তবায়নে ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে।"
এস.এম/ডিএস
স্বত্ব © দেবীগঞ্জ সংবাদ ২০২৪