পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে উচ্চ বেতনে ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচারের চেষ্টার অভিযোগে চার জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
এর আগে ফরহাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তি চারজনের নামসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনকে আসামী করে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন ঢাকা জেলার দোহার থানার শেখ নজরুল ইসলামের ছেলে চাঁদ মিয়া রিদয়, তার স্ত্রী ইশরাত জাহান রিয়া, দেবীগঞ্জ উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের মাঝাডোবা গ্রামের মাজেদুল ইসলামের ছেলে শহীদ আলী ও মোসলেম পাইকান এলাকার সেকেন্দার আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম।
মামলার নথি ও সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, গত শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের মাঝাডোবা গ্রামে ফরহাদের বাসায় তার স্ত্রী সাহেরা খাতুনকে পঞ্চান্ন হাজার টাকা বেতনে ভারতে চাকরি প্রদানের প্রস্তাব দেন একই এলাকার শহীদ আলী। তবে সাহেরা খাতুন এতে রাজি না হওয়ায় শহীদ তার স্বামী ফরহাদকে মুঠোফোনে বিষয়টি জানায়। পরে ফরহাদকে ফোনে রিদয় ও তার স্ত্রীর সাথে কথা বলিয়ে দেন শহীদ। ফরহাদের এতে সন্দেহ হলে তিনি কৌশলে অভিযুক্তদের তার বাড়িতে আসতে বলেন। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গ্রেফতারকৃত চারজনই ফরহাদের বাসায় এসে চাকরির বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানায়। তবে সাহেরাকে কি চাকরি দেওয়া হবে, এত টাকা বেতন কেন এইসব প্রশ্ন করলে অভিযুক্তদের কথা অসংলগ্ন মনে হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা ফরহাদের বাসায় ভিড় জমায়। পরে বিষয়টি দেবীগঞ্জ থানায় জানানো হলে চারজনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান, শহীদ এবং জাহানারা বেশ কিছু দিন থেকে এলাকার বিভিন্ন নারীকে ভারতে ভালো বেতনে চাকরি পাইয়ে দিবেন বলে তাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন। রিদয় ও তার স্ত্রী ভারতে যাওয়ার সব খরচ বহনসহ চাকরিতে যোগাদানে সহযোগিতা করবেন বলে জানানো হয়। শহীদ ও জাহানারা স্থানীয় নারীদের ভারতে যাওয়ার ব্যাপারে আকৃষ্ট করতে কাজ করছিলেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এই ঘটনায় মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
এস.এম/ডিএস