সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলা শহরের ঐতিহাসিক পেড়ালবাড়ী সমিতির ডাঙায় তিরোধান দিবসের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন দুপুর ১২টায় পঞ্চানন স্মৃতি ভাষ্কর্যে পুষ্পস্তবক ও পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে সমাবেত প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া গত ৪ আগষ্ট ক্ষত্রিয় সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারাধন রায় দুষ্কৃতকারীদের হামলায় নিহতের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। পরে তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করেন উপস্থিত লোকজন।
এরপর রায় সাহেব পঞ্চানন বর্মার সমাজ সংস্কারে কৃতিত্ব ও অবদান নিয়ে আলোচনা করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। আলোচনায় আসন্ন শারদীয় দূর্গাপুজায় করনীয় ও প্রস্তুতি বিষয়গুলোও উঠে আসে।
শ্রী শ্রী সীতানাথ মহাক্ষেত্র ধামের সভাপতি উমাপদ রায় সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ক্ষত্রিয় সমিতির সাবেক সভাপতি গোরাচাঁদ অধিকারী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ক্ষত্রিয় সমিতি ঠাকুরগাও জেলার সভাপতি নির্মল চন্দ্র বর্মন ও সাধারণ সম্পাদক রশ্মি মোহন সিনহা, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি উমাপতি রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জনিয়ার রনজিৎ কুমার বর্মন,কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরেশ চন্দ্র রায়, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পঞ্চগড় জেলার সম্পাদক শ্যামল কুমার রায়, ক্ষত্রিয় সমিতি পঞ্চগড় জেলার সাধারণ সম্পাদক হরিশ চন্দ্র রায়, নীলফামারী জেলা সম্পাদক অনিমেষ রায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ক্ষত্রিয় মিতির সভাপতি প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, গোপেস চন্দ্র বর্মন, নীলকান্ত বর্মন, অধ্যক্ষ অনীল চন্দ্র রায় প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে, রায় সাহেব ঠাকুর পঞ্চানন বর্মা বাংলাদেশের ক্ষত্রিয় জনগোষ্ঠীর কাছে একজন সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে অবিভক্ত ভারতবর্ষের বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, কলকাতা, নেপাল ও আসামসহ বিভিন্ন অঞ্চলের অবহেলিত ক্ষত্রিয় জনগোষ্ঠীকে নিয়ে অধিকার আদায়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তলেন এবং সমাজ সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তিনি ১২৭২ সালের পহেলা ফাল্গুন জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৩৪২ সালের ২৩ ভাদ্র মৃত্যুবরন করেন।
আর.ডিএস
মন্তব্য করুন