গত ২৫ অক্টোবর মহালয়ার মধ্য দিয়ে পুজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় এবং আগামীকাল ১লা অক্টোবরে ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দূর্গা পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে যাচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চগড় জেলায় এ বছর ২৯৭ টি মন্ডবে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সর্বাধিক ১১৪টি মন্ডবে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে দেবীগঞ্জ উপজেলায়।
এরই মধ্যে অধিকাংশই মন্দিরেই সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
পঞ্চগড় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের গনসংযোগ সম্পাদক- হরিশ রায় বলেন, " আমরা পঞ্চগড় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে খবর রাখার চেষ্টা করছি এবং আমাদের যতটুকু প্রস্তুতি আছে আশা করি নির্বিঘ্নে পূজাটি সম্পন্ন করতে পারবো। যেহেতু কিছুদিন আগে মহালয়ার অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় বহু মানুষ মারা গেছেন তাই আমরা পূজা মন্ডবের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছি। এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে।"
সনাতন ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় এই উৎসব কে ঘিরে বসেছে মেলা। বিভিন্ন মন্ডবে ঘুরে ঘুরে দেবী দুর্গার প্রতিমা ও সাজসজ্জা এবং মেলায় কেনাকাটা করছেন সাধারণ মানুষ।
দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে যে কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা এড়াতে নেওয়া হয়েছে সকল ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশের পাশাপাশি প্রতিটি মন্ডবে থাকবে গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, " পূজা উপলক্ষে সামগ্রিকভাবে পঞ্চগড় জেলার যে আইন-শৃঙ্খলা প্রস্তুতি তা ইতিমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। আমাদের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২৯৭ টি মন্ডবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে এবং আমার প্রতিটি মন্ডব নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রেখেছি।"
পঞ্চগড়ের সর্বোচ্চ পূজা মন্ডব দেবীগঞ্জ উপজেলায় হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা- গোলাম ফেরদৌস জানান," দূর্গা পূজায় পুলিশের পাশাপাশি ৭৪০ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়া দু'জন ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রতিটি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার দায়িত্ব পালন করবে।"
উল্লেখ্য, আগামীকাল ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে দূর্গা পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে এবং ৫ ই অক্টোবর দশমীর দিনে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দূর্গা পূজার সমাপ্তি হবে।
এস.এম/ডিএস