বুধবার (৩০ আগস্ট) রাত পৌনে একটার দিকে উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের কালিডাঙ্গা পাড়ায় মসজিদ ভাঙচুরের এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় রাত ৩টার দিকে বাড়ি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ । অভিযুক্ত মনতাজ আলী(৩০) একই গ্ৰামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত পৌনে একটার সময় কুড়াল এবং লাঠি নিয়ে গ্ৰামের মসজিদের তালা ভেঙে ভিতরে ঢুকে মনতাজ। কুড়াল দিয়ে ভিতরের জানালা ভাঙচুর করে। পরে কুরআন, হাদিসের বই ছিঁড়ে ফ্লোরে ফেলে রাখে।
প্রতিবেশীরা ভাঙচুরের শব্দ শুনে এগিয়ে গেলে অভিযুক্ত মনতাজ চিৎকার করে বলতে থাকে, "আমি এলাকায় কোন মসজিদ রাখবো না।" ভাঙচুর শেষে সেখান থেকে সে তার বাসায় চলে যায়। পরে এলাকাবাসী তার বাড়ী ঘেরাও করে ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল ধর্মীয় গ্রন্থ ছিড়ে ফেলা এবং মসজিদ ভাঙচুরের সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত মনতাজকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
[caption id="attachment_11213" align="aligncenter" width="355"] ছবি: পবিত্র কুরআন শরীফের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফ্লোরে ফেলে রাখার দৃশ্য..[/caption]
এবিষয়ে দন্ডপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজগড় আলী মুঠোফোনে জানায়, "ঘটানাটি গতকাল রাতে ঘটে। আমি আজ সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি। ঘটনাস্থল থেকে ২০০ গজ পরেই হিন্দু বসতি। সে জামায়াত-শিবিরের কানেকশনে আছে এবং সে হিন্দু- মুসলমানের মাঝে একটা গোলযোগ সৃষ্টির জন্য এমন কাজ করতে পারে বলে আমি মনে করছি।"
এদিকে পরিবারের দাবি সে মানসিক ভারসাম্যহীন। অভিযুক্ত মনতাজ আলীর পিতা আব্দুর রশিদ বলেন, "গত ২ বছর থেকে তার মাথায় সমস্যা। রংপুরে গিয়ে ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। সে এ কাজ করেছে আমরা জানতাম না, রাতে যখন এলাকাবাসী এসে বলে তখন জানতে পারি।"
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ অবমাননা এবং মসজিদে ভাঙচুরের ঘটনায় মনতাজ কে গ্ৰেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যাথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্ৰহণ শেষে আদালতে হাজির করানো হবে।"
[caption id="attachment_11160" align="aligncenter" width="320"] বিজ্ঞাপন[/caption]
এস.এম/ডিএস