প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠান সূচি অনুযায়ী একযোগে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় দেশের সব উপজেলায়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে ৩৯ হাজার ৩৬৫ টি ঘর উদ্বোধন করা হয়। একই সাথে সারা দেশে ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়।
বুধবার (২২ মার্চ) উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হল রুমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি এই সময় হল রুমে প্রচার করা হয়।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান- আব্দুল মালেক চিশতী; উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা- গোলাম ফেরদৌস, দেবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র- আবু বকর সিদ্দীক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি- গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী; ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ প্রমুখ। উপস্থিত অতিথিরা ছাড়াও দেবীগঞ্জের আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে ২৫ টি পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মূল অনুষ্ঠানের পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা- গোলাম ফেরদৌস এক বক্তব্যে বলেন, দেবীগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৮০৩ টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ৯৫ শতাংশ ঘরে উপকারভোগীরা পরিবারসহ বসবাস করছেন। বাকী ঘরের উপকারভোগীরা স্থায়ী ভাবে থাকা শুরু করেননি। ইউএনও বলেন, যদি ঘর নিয়ে স্থায়ী ভাবে কেউ না থাকেন তাহলে তাদের নাম বাদ দিয়ে নতুন করে ভূমিহীন-গৃহহীন ব্যক্তিদের তালিকা করে পুনরায় সেসব ঘর হস্তান্তর করা হবে। একই সাথে ইউএনও জানান, আগামী এপ্রিলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের জন্য যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণের মধ্যে থাকবে- হাঁস মুরগি পালন, গরু মোটাতাজাকরণ, সেলাই ও হস্ত শিল্প, পুষ্টি বাগান। কৃষি দফতর থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পতিত জমিতে সবজি বাগান গড়ে তুলতে সার ও বীজ প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপকারভোগীরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরলে ইউএনও তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আব্দুল মমিনকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
এস.এম/ডিএস