শনিবার (২২জুলাই) সকাল ১১ টায় উপজেলার সোনাহার মল্লিকদাহ ইউনিয়নের বাবু পাড়া এলাকায় দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত মহেশ্বর রায় টংক একই এলাকার শিপেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, দীর্ঘ এক বছর থেকে মহেশ্বর রায় বৈদ্যুতিক তার বিছিয়ে এবং গুছিয়ে ফসলি জমিতে সেচ দিতেন।প্রতিবারের ন্যায় সেচ দেওয়া শেষ হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই বৈদ্যুতিক তার গুচাচ্ছিলেন মহেশ্বর। হটাৎ বৈদ্যুতিক তারের মাথা শরীরে স্পর্শ হলে সেখানেই তার সহ লুটিয়ে পড়ে যায় সে।
প্রতিবেশী বাদল রায় মহেশ্বরকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখে দোড়ে গিয়ে মেইন সুইচ বন্ধ করে দেন। তার চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে বেশ কয়েকজন এলাকাবাসী ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে এবং জমিতে পড়ে থাকা মহেশ্বরকে একটি ভ্যানে করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান দেবীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোছাঃ রুনা লায়লা এবং দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম। পরে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিতু আক্তার ঘটনাস্থলে আসেন।
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, "আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। কর্তব্যরত চিকিৎসকের স্বাক্ষরিত কাগজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে বিস্তারিত শুনে এবং আলামত দেখে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টের ঘটনা সুস্পষ্ট হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ না থাকায় মৃতদেহ সৎকারের জন্য দেয়া হয়েছে। এঘটনায় দেবীগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।"
এস.এম/ডিএস