নির্যাতনের শিকার ব্যাক্তির নাম গৌতম কুমার রায়। তিনি উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের মাটিয়ারপাড়া এলাকার অনুকুল চন্দ্র রায়ের ছেলে। ইতিমধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নির্যাতনের বেশ কিছু ছবি গণমাধ্যমকর্মীদের হাতে এসেছে। এই ঘটনায় গৌতম কুমারের স্ত্রী খুকু রানী বাদী হয়ে ছয় জনের নাম উল্লেখ করে দেবীগঞ্জ থানায় এজাহার জমা দিয়েছেন।
মামলার নথি ও ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিকটিম গৌতম কুমার রায় একজন ট্রাক্টর চালক। তিনি অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মিলির স্বামী খয়রুলের জমি চাষের পাওনা ছয়শত টাকা চাওয়ায় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। একই দিন রাত আনুমানিক পৌঁনে এগারটার সময় গৌতম অভিযুক্ত খয়রুল ইসলামের বাড়ির সামনে দিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎ করে খয়রুল ও তার সহযোগীরা তাকে আটকিয়ে গামছা দিয়ে মুখ ও দড়ি দিয়ে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। এর এক পর্যায়ে খয়রুল গৌতমের মুখের গামছা খুলে দিয়ে গৌতমের মুখে গুল (তামাক দিয়ে প্রস্তুত) ঢেলে দিয়ে নাকে-মুখে পানি ঢালেন। এই সময় প্রাণ রক্ষার জন্য গৌতম চিৎকার শুরু করলে আবারো তার মুখে কিল-ঘুষি দেওয়া হয়।
পরে গৌতমের স্ত্রী খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্বামীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য গৌতমকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসা গ্রহণ করছেন।
এই বিষয়ে জানতে নুর খাতুন মিলি বলেন, গৌতম সেই রাতে আমার বাসায় টিউবওয়েল ও পানির পাম্প চুরি করতে এসে ধরা পড়ার পর চর থাপ্পড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু হাত-পা বেঁধে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।
দেবীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক ও দন্ডপাল ইউনিয়নের বিট কর্মকর্তা- মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, "এজাহার দায়েরের পর প্রাথমিক তদন্তে চুরির সাথে গৌতমের কোন সম্পৃক্ততা মিলেনি। পূর্বেও গৌতমের বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগ আমরা পাইনি।"
দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা- জামাল হোসেন বলেন, "আমরা প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মামলা নিয়েছি।"
এস.এম/ডিএস