বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) রাত ১১ টায় গোপন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মইনউদ্দীনের নেতৃত্বে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার মাওয়া ইউনিয়ন থেকে ভিকটিম হাচেনা বানু( ১৫) কে সাত মাসের শিশু সহ উদ্ধার করা হয়। এসময় মূল আসামি আমিনুর রহমান (৩০) কে গ্ৰেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, "আসামী আমিনুর রহমান(৩০) সম্পর্কে ভিকটিমের চাচাতো বোন জামাই । জামাই হওয়ায় নিয়মিত চাচা শ্বশুর বাড়িতে যাতায়াত ছিলো ছিল আসামীর। একপর্যায়ে ভিকটিম হাচেনা বানু (১৫) কে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ১৯ তারিখে ভাউলাগঞ্জ বাজার থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। মেয়েকে বাসায় না পেয়ে কয়েকদিন পারিবারিকভাবে খোঁজ খুঁজি করা হয়। খুঁজে না পেয়ে ভিকটিমের বাবা হাসমত আলী ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখ আমিনুর রহমান (৩০) কে প্রধান আসামী করে ৫ জনের নামে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্তভার দেবীগঞ্জ থানায় দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর থেকে ভিকটিম হাচেনা বানু (১৫) উদ্ধার করা হয় এবং আসামী আমিনুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়।"
ভিকটিমের বাবা হাসমত আলী জানান, "আমিনুর আমার ভাতিজি জামাই ছিল। নিয়মিত বাসায় যাতায়াত ছিল। আমিনুর একজন দুঃশ্চরিত্রের লোক। তার দুই ছেলে সন্তান ও বউ রেখে সে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আজ আমার মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমি মামলা চালিয়ে যেতে চাই।"
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেবীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ হোসেন জানায়," দেড় বছর আগে আদালতে অপহরণ মামলা করা হয়। আদালত তদন্তভার দেবীগঞ্জ থানায় দিলে আমি এ ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব পাই। আমরা গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপপরিদর্শক- মইনউদ্দীনের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক- আব্দুর রাজ্জাক সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানে সাত মাসের শিশুসহ ভিকটিম কে উদ্ধার করি এবং আসামীকে আটক করে দেবীগঞ্জ নিয়ে আসি।"
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) জামাল হোসেন বলেন, "সকালে আসামীকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আদালত আসামীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আজ শুক্রবার হওয়ায় ভিকটিমকে আদালতে হাজির করানো সম্ভব হয় নি তবে আগামীকাল ভিকটিমকে আদালতে হাজির করা হবে, আদালত ভিকটিমের বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত দিবেন সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এস.এম/ডিএস