রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার পৌর সদরের সাহাপাড়া এলাকার বলাই সাহার (৭০) বাসায় এই চুরির ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে চারটি পিতলের প্রতিমা, স্বর্ণ ও রূপার গয়না চুরির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
বলাই সাহার ছেলে লক্ষণ সাহা বলেন, "আমাদের শোয়ার ঘরের সাথের দুইটি ঘর আমার বড় ভাইয়ের। চাকরির কারণে তিনি সস্ত্রীক বাইরে থাকেন। প্রতিদিন রাতে ওই ঘরে তালা দেওয়া হয়।"
লক্ষণ সাহার স্ত্রী একা সাহা বলেন, "গত রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) আনুমানিক রাত ৯টার দিকে আমি নিজ ঘরে ছিলাম। এই সময় হঠাৎ করেই কটু গন্ধ পাই আমি। এর কিছুক্ষণ পর ঘুম ভাব চলে আসায় আমি অন্য দিনের থেকে আগেই ঘুমিয়ে পড়ি। যদিও নিয়মিত রাত ১২টার সময় শুতে যাই আমি।"
লক্ষণ সাহা জানান, তিনি নিজেও প্রতিদিন রাতে ১টার দিকে ঘুমাতে যান। কিন্তু কাল বাসায় ফেরার কিছুক্ষণ পর তার ঘুম আসায় দ্রুত ঘুমাতে যান। আজ (সোমবার) সকাল ৭টার দিকে তার স্ত্রী ঘুম থেকে উঠে দেখেন দরজার হ্যাজবোল্ট ভাঙ্গা। ঘরের ভেতরে থাকা ট্রাঙ্কের তালা ভাঙ্গা ও অ্যায়ারড্রোবের সব ড্রয়ার খোলা ও জিনিসপত্র এলোমেলো।
একা সাহার দাবি চেতনানাশক কোন স্প্রে ব্যবহার করা হয়েছিল। নয়তো অন্যদিনের থেকে আমার ও আমার স্বামীর আগে ঘুম ভাব আসার কথা নয়।
এইদিকে চুরির বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন দেবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবু বিকর সিদ্দীক, দেবীগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রুনা লায়লা, দেবীগঞ্জ থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) জামাল হোসেন, ওসি (তদন্ত) রনজু আহম্মেদ, সেকেন্ড অফিসার এসআই হাফিজ হায়দার, এএসআই ইয়াকুব।
দেবীগঞ্জ থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) জামাল হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাসার মালিক ও পরিবারের অন্য সদস্যসের সাথে কথা হয়েছে। আমরা তাদের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।
ওসি বলেন, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে চোর আগে থেকে জানতো কোন ঘরে প্রতিমা রাখা হয়েছে। আর চেতনানাশক স্প্রে সদৃশ যে জিনিসটির কথা বলা হচ্ছে আমরা সেরকম কোন আলামত পাইনি।
উল্লেখ্য, একই (সাহাপাড়া) এলাকার মন্দির ও বাসা থেকে ইতিপূর্বে দুইবার প্রতিমা চুরি হয়েছিল।
এস.এম/ডিএস