পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে শাহিন(২০) ও মিনাল(১৮) নামে দুই যুবক আহত হয়েছেন। এদের মাঝে শাহীনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টায় দেবীগঞ্জ পৌসদরের দোসীমানায় এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি সংঘটিত হয়। ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত শাহিন দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পূর্ব দেবীডুবা ডাঙ্গা পাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে। শাহিন পেশায় একজন সিএনজি চালক।

এঘটনায় শাহিনকে বাঁচাতে গিয়ে ইমন ইসলাম মিনাল (১৮) নামে আরেকজন আহত হয়। ইমন ইসলাম মিনাল একই এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।

আহত ইমন ইসলাম মিনাল জানায়, "আমি, শাহিন এবং আমার মামাতো ভাই মিলন দোকান পাড়ে বসে গেইম খেলতে ছিলাম। শাহিন এক পর্যায়ে প্রসাব করতে দোকানের পাশে গেলে তাহের তাকে ছুরি মারে। শাহিন আমাকে বাঁচাও বলে ডাক দিলে আমি দৌড়ে গিয়ে তাকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও ছুরি মারে তাহের, এতে আমার ডান পায়ের চরু কেটে যায়।"

ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত আবু তাহের (২৩) একই এলাকার মোঃ লাল মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১০/১২ দিন আগে আহত শাহিন এবং অভিযুক্ত তাহেরের পরিবারের মাঝে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় শালিসে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন জনপ্রতিনিধিরা। এদিকে সোমবার(৪ ডিসেম্বর) রাতে পৌরসভার দোসীমানার দোকান পাড় এলাকায় শাহীনসহ ৩ জন বসে অনলাইন গেইম খেলছিলো। দীর্ঘ সময় ধরে অভিযুক্ত তাহের সেখানে ঘুরাঘুরি করতে থাকে। একপর্যায়ে শাহীন প্রসাব করার জন্য দোকানের পাশে গেলে তাহের তার পেটে ও চোয়ালে ছুরিকাঘাত করে। শাহিন বাঁচাও বলে চিৎকার করলে ইমন ইসলাম মিনাল ও মিলন এগিয়ে গেলে মিলনের পায়ে ছুরি মেরে পালিয়ে যায় তাহের।

স্থানীয়রা শাহিন ও মিনালকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। শাহিনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং মিনালের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রিলিজ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এবিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক বনশ্রী মন্ডল বলেন, "হাসপাতালে দুইজন আহত অবস্থায় আনা হয়। একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রংপুরে রেফার্ড করা হয়েছে। তার পেটে এবং মুখের চোয়ালে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অন্য জনের আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।"

এদিকে ছুরিকাঘাতে হতাহতের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম। ঘটনাস্থল থেকে ছুরি এবং অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।

ছুরিকাঘাতে আহতের ঘটনা নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, "মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।"

এস.এম/ডিএস