বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "ভোটের অধিকার আওয়ামী লীগ দিয়েছে। আর সেটা অব্যাহত থাকবে। এবারের নির্বাচন আপনাদের সকলকে সর্তক থাকতে হবে কেউ যাতে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ করে মানুষের ক্ষতি করতে না পারে। সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে আমি আহ্বান জানাচ্ছি। এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে। ভোটের মালিক জনগণ এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। এটা আমরা উন্মুক্ত করেছি। এবার নৌকার প্রার্থীও আছে, স্বতন্ত্র প্রার্থীও আছে এবং অন্যান্য দলও আছে।"
বৃহস্পতিবার ( ২১ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের ঐতিহাসিক চিনিকল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসমাবেশে ভার্চয়ালী যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, "প্রত্যেকে জনগণেনর কাছে যাবেন। জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে। কেউ কারো অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। এখানে কিন্তু সংঘাত বা কোন কিছু আমি দেখতে চাইনা। কোন সংঘাত হলে আমার দলের যদি কেউ করে তাদের কিন্তু রেহাই নেই। না হলে কিন্তু তার বিরুদ্ধে আমি যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। আমরা চাই জনগণ তার ভোটের অধিকার নির্বিঘ্নে প্রদান করবে। তারা যাকে খুঁশি তাকে পছন্দ করবে তাকে ভোট দেবে। সে জয়ী হয়ে আসবে। কারণ গণতন্ত্রকে আমাদের আরও সুদৃঢ করতে হবে। এর যদি ব্যাতয় ঘটে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কি হবে শেষ হয়ে যাবে। আজকে বাংলাদেশের যে উন্নতি হয়েছে তা থাকবে না।"
পরে প্রধানমন্ত্রী পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সাথে কথা বলেন। এসময় মন্ত্রী পঞ্চগড়ের দুইটি আসন প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেয়ার অঙ্গিকার করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল জনসমাবেশে যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে জড়ো হন।
এস.এম/ডিএস