ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট যেন ‘সোনার হরিণ’। রাতদিন অপেক্ষা করেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত টিকিট।
মানুষে ঠাসা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন কাউন্টার চত্বর। সেখান থেকে সড়কে ঠেকেছে টিকিট প্রত্যাশীদের লাইন। একটি টিকিটের আশায় সেহরি-ইফতার করতে হচ্ছে স্টেশনের লাইনে বসেই।
যাত্রীদের এই ভোগান্তি নিয়ে করার কিছু ‘দেখছেন না’ রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। এবং রেলওয়ের কর্মকর্তাদের কালোবাজারিতে জড়িত হওয়ার সুযোগ নেই বলে জানালেন মন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
সোমবার দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘কালকের টিকিটের জন্য যদি লোকজন আজকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে আমাদের কী করার আছে বলেন? আজকের টিকিট নিয়ে তো কারো কোনো অভিযোগ নেই। কারণ আমরাতো সিস্টেম করেছি, অন্য কোনো জালিয়াতির সুযোগ নেই। আপনি আইডেনটিটি কার্ড দিয়ে টিকিট কাটবেন, আপনার টিকিট দিয়ে আমি যেতে পারব না।’
রেলওয়ের কর্মকর্তারাও কালোবাজারিতে জড়িত বলে যে অভিযোগ আছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ‘কালোবাজারি কীভাবে করবে? আমি যদি আপনার টিকিটে না যেতে পারি, তো টিকেট নিয়ে কী করব? একজন চারজনের টিকেট নিলে চারজনের আইডি কার্ডই জমা দিতে হবে।’
বিজ্ঞাপন
এর আগে টিকেট কাউন্টারগুলো পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী। এ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তখন নানা ভোগান্তির পাশাপাশি টিকেট না পাওয়ার অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
ঈদের জন্য ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে শনিবার সকাল থেকে। পাঁচ দিনব্যাপী টিকিট বিক্রি চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত।
আর/ডিবিএস