বুধবার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সাঘাটা উপজেলার বগারভিটা ভোট কেন্দ্রে একত্রিত হয়ে আওয়ামী লীগ এর প্রার্থী বাদে বাকি চার প্রার্থী একযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এ উপনির্বাচনে আসনটিতে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও দুপুরের পর প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের এ এইচ এম গোলাম শহীদ রনজু, বিকল্পধারা বাংলাদেশের কুলা প্রতীকের জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আপেল প্রতীকের নাহিদুজ্জামান নিশাদ ও ট্রাক প্রতীকের সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ভোট বর্জন করেন।
এসময় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মাহমুদ হাসান রিপনের বিরুদ্ধে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট দেয়া, ইভিএমএ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ তুলে ভোট বাতিলের দাবি জানান তারা।
একই সঙ্গে আবার তফসিল ঘোষণা করে ভোটগ্রহণের দাবিও জানান প্রার্থীরা।
এর আগে গোপন কক্ষে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়াসহ নানা অনিয়ম-জালিয়াতির ঘটনায় একে একে ৪৫ ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে রিটার্নিং অফিসার ও রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার তিনটি কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ নেওয়ার পর ভোটারকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জালিয়াতির মাধ্যমে গোপন কক্ষে একজনের পরির্বতে আরেকজন ভোট দেওয়ার অভিযোগে ৪৫ কেন্দ্রের ভোট বন্ধ রাখা হয়েছে।