আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়া প্রার্থীদের জামানত রক্ষায় প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে যা এত দিন তা ছিল ৮ শতাংশ। এর বাইরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালায় আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। গত মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এসব সংশোধনী প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি এসব সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি। আগামী যষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে এসব বিধান কার্যকর হবে। সংশোধনী অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক স্বাক্ষরের তালিকা জমা দেওয়ার বিধানও বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এবার থেকে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে। প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা জনসংযোগ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রার্থীরা সাদাকালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন।
বিধিতে নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পষ্ট করা হয়েছে। আগামী মে মাসে চার ধাপে ৪৮১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন করবে ইসি। প্রথম ধাপে আগামী ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপে ২৫ মে ভোট হবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে। এরই মধ্যেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিধান শিথিল করেছে ইসি। এত দিন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে ২৫০ ভোটারের সমর্থনসূচক সই মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হতো।
আজ, বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হতে পারে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ তপসিল। বেলা ১১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে। ৪৮১টি উপজেলার কোনটিতে কবে ভোট তা আগেই জানিয়েছে ইসি।
তথ্যসূত্র; দৈনিক ইত্তেফাক
এস.এম/ডিএস