আগাম টিকিটের জন্য প্রায় সব লঞ্চ কোম্পানির কাউন্টারেই ইতোমধ্যে আবেদন জমা পড়েছে। তবে ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের স্পেশাল সার্ভিস (ডাবল ট্রিপ) কবে থেকে শুরু হবে, বিআইডব্লিইটিএ তা এখনো ঠিক করেনি বলে যাত্রীবাহী লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে।
সুন্দরবন নেভিগেশনের পরিচালক ও বরিশাল লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্য সাইফুল ইসলাম পিন্টু মনে করেন, ঈদে দীর্ঘ ছুটির কারণে আগামী ২৮ থেকে ৩০ তারিখের পরে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ কম থাকবে। তিনি আরো জানান, ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটে লঞ্চের সংখ্যা ও ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কেবিনের চাহিদা প্রায় সব সময়ই থাকে। তবে ডেকের যাত্রীদের অবস্থা দেখতে হবে। ডেকের যাত্রীদের চাপ না থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকায় ডাবল ট্রিপ চালাতে চাইছি না।
বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচালক ও অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চের স্বত্বাধিকারী নিজামুল ইসলাম জানান, ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে প্রয়োজনের তুলনায় কেবিনের সংখ্যা কম। ঈদে কেবিনের চাহিদা কয়েক গুণ থাকায় আবেদনকৃত সবাইকে কেবিন দেওয়া সম্ভব হয় না। এবার আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে লটারির মাধ্যমে যাত্রীদের মধ্যে টিকিট বিতরণ করা হবে। ঢাকা ও বরিশালের কাউন্টার থেকে লঞ্চগুলোর কেবিনের টিকিট আগামী সোমবার সংগ্রহ করতে হবে।
বিআইডব্লিউটিএ এর বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঈদ উপলক্ষে লঞ্চের বিশেষ সার্ভিস নিয়ে এখানো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে আগামী ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১০টি কোম্পানির লঞ্চ প্রতিদিন চলাচল করবে এই রুটে। বিশেষ সার্ভিসে কতগুলো লঞ্চ চলাচল করবে এই রুটে তা ঘরমুখো মানুষের চাপের ওপর নির্ভর করবে।
তথ্য সূত্রঃ দৈনিক শিক্ষা
আরএইচ/দেস
মন্তব্য করুন