মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে দেশটির জাস্টিস এবং পাবলিক সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়।
নতুন আইফোনে পাওয়ার এডাপ্টার না থাকায় মূলত আইফোন বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে ব্রাজিল।
শুধু তাই নয় পাওয়ার এডাপ্টার না থাকায় তারা অ্যাপলকে ২.৪ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানাও করেছে। খবর বিবিসি’র।
ব্রাজিলের ভোক্তা সংস্থা সিনাকন জানিয়েছে, অ্যাপল নতুন আইফোনে পাওয়ার এডাপ্টার যুক্ত না করে ক্রেতাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে। যাকে দেশটি ‘অসম্পূর্ণ পণ্য’ বলে উল্লেখ করেছে।
এদিকে ব্রাজিলের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছে অ্যাপল।
কোম্পানির এক বিবৃতির মাধ্যমে রয়টার্সকে জানানা হয়েছে- এ সমস্যা সমাধানে তারা ব্রাজিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে তারা এর আগেও দেশটির আদালতের কয়েকটি রায়ে জয়লাভ করেছে।
অ্যাপল বলছে, আমাদের ডিভাইসে চার্জ দেওয়ার জন্য বহুমুখী সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। যা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে।
এদিকে ব্রাজিলে আইফোন বিক্রি নিষিদ্ধ করার একদিন পরই অ্যাপল- আইফোন ১৪, ১৪ প্রো এবং অ্যাপল ওয়াচ আলট্রা বাজারে ছেড়েছে।
সাও পাওলোর ভোক্তা অধিকার সংস্থা গত বছর অ্যাপলকে ২ মিলিয়ন পাউন্ড জরিমানা করে। এর প্রেক্ষিতে বলা হয় আইফোন-১২ এর পর থেকে অ্যাপল কোনো চার্জার সংযুক্ত করছে না। যা সুস্পষ্ট আইনের লঙ্ঘন।
এদিকে ২০২০ সালে অ্যাপল যখন আইফোন ১২ লঞ্চ করে তখন তারা চার্জারের জন্য পাওয়ার এডাপ্টার এবং হেডফোন সুবিধা বন্ধ ঘোষণা করে।