ইতিমধ্যে নির্বাচনে ২৫০ টি আসনের ঘোষিত ফলাফলে ইমরান খানের তেহরিক-ই-পাকিস্তান (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৯৯ আসনে জয়লাভ করেছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)। তারা পেয়েছে ৭১ আসন। আর বিলওয়াল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫৩ আসন। এমকিউএম ১৭টি আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য দল পেয়েছে ১০টি আসন।
তবে এই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবারের নির্বাচনপ্রক্রিয়া নিয়ে এই উদ্বেগ জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনে অনিয়মের যেসব অভিযোগ সামনে এসেছে, তা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
এছাড়া নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্বাচনে অধিকারকর্মীদের আটক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অনিয়ম, হস্তক্ষেপ ও জালিয়াতির যেসব অভিযোগ উঠেছে, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাক্স্বাধীনতা ও সমাবেশের স্বাধীনতার ওপর অযৌক্তিক বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে সহিংসতা ও সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাও দেখা গেছে।
ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেসম্যান রো খান্না এবং ইলহান ওমরের মতো মার্কিন আইনপ্রণেতারা পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। রো খান্না সরাসরি বলেছেন, সামরিক বাহিনী নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেছে। ভোটের ফলাফলে কারচুপি করেছে।
খান্না ও ইলহানের দাবি, যতক্ষণ অনিয়মের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত না হচ্ছে, ততক্ষণ পাকিস্তানের নির্বাচনে বিজয়ী পক্ষকে স্বীকৃতি দেওয়া মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচিত হবে না।
এবারের নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমানে কারাগারে থাকা ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এবং আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) মধ্যে।
যদিও আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে পিটিআইসমর্থিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তবে ভোটের ফলে দুদলই নিজেদের বিজয়ী দাবি করেছে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই এবার ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে। এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে কোনো দলকে ১৩৪টি আসনে জিততে হবে।
আর.ডিএস
মন্তব্য করুন