ফিলিস্তিনে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত আলজাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহকে শুক্রবার জেরুজালেমের একটি খ্রিস্টান কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত এ মার্কিন নাগরিকের মরদেহ চার্চে নেওয়ার পথে দখলদার ইসরাইলি পুলিশ শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেওয়া মানুষের ওপর লাঠিচার্জ, স্টান গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
ইসরাইলের এক মন্ত্রী দেশটির পুলিশের এহেন আচরণের তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন। দেশটির আঞ্চলিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী এসাবি ফ্রেজ শনিবার এক টুইটবার্তায় ইসরাইলি পুলিশের কঠোর সমালোচনা করেন। খবর আনাদোলুর।
বিজ্ঞাপন
ফ্রেজ বলেন, শোকাহত মানুষের ওপর হামলা করে পুলিশ অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছে। এটা নিন্দনীয় এ লজ্জাকর ঘটনা।
ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটের এ আবর সদস্য আরও বলেন, শুক্রবার অকারণে এ উসকানিমূলক আচরণ করেছে পুলিশ। শোকাত মানুষদের প্রতি সামান্য শ্রদ্ধাবোধ দেখাননি তারা।
ইসরাইলি পুলিশের এ বর্বর আচরণে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার পশ্চিমতীরের জেনিনে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর একটি কথিত অভিযানে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান শিরিন আবু আকলেহ ও অন্য সাংবাদিকরা।
বিজ্ঞাপন
এ সময় তার মুখে এসে আঘাত করে ইসরাইলি সেনাদের একটি বুলেট। সেই একটি বুলেটের আঘাতেই মৃত্যু হয় তার।
শিরিন ১৯৯৭ সাল থেকে আলজাজিরার হয়ে কাজ করেছেন। তিনি তার রিপোর্টে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলের নিগ্রহের বিষয়টি।
দাবি করা হচ্ছে, আলজাজিরার ফিলিস্তিনি এ সাংবাদিককে টার্গেট করে গুলি করে ইসরাইলি স্নাইপার।
শিরিনের মুখে যখন গুলি লাগে তখন তিনি হেলমেট ও প্রেস লেখাসংবলিত জ্যাকেট পড়েছিলেন।
আর/ডিবিএস
মন্তব্য করুন