কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ৪নং গোলনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল আলম কবিরের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ২০১১-২০১২ অর্থ বছরে সাধারণ গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) কর্মসূচির আওতায় গোলনা ইউনিয়নের গাটিয়ার বাড়ীর পিছন থেকে বুড়ি তিস্তা নদী পর্যন্ত ক্যানেল পুন:খনন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্যের পরিমাণ ২২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয় উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত চূড়ান্ত পরিমাপে দেখা যায়, প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করার পর ১৪ মেট্রিক টনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং অবশিষ্ট ৮ মেট্রিক টন চাল অব্যয়িত রয়েছে। যার সরকরি মূল্যে দুই লক্ষ তেহাত্তর হাজার পাচঁশত ষাট টাকা।
অবশিষ্ট ৮ মেট্রিক টন চাল অব্যয়িত থাকার বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে কবিরের বিরুদ্ধে। যার জরিমানা হিসেবে দ্বিগুণ টাকা পরিশোধের জন্য সাবেক চেয়াম্যান কামরুল আলম কবিরকে নির্দেশ দিয়েছে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ময়নুল ইসলাম ।
জরিমানার মূল্য পাচঁ লক্ষ সাতচল্লিশ হাজার একশত বিশ টাকা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমাদানের জন্য নির্দেশ প্রদান করেছে প্রশাসন। যার ট্রেজারি কোড নম্বর- ১-৪৯৩১-০০০০-২৬৮১।
জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসির মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
এবিষয়ে কামরুল আলম কবিরের মন্তব্য জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এস.এম/ডিএস
মন্তব্য করুন