৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলছে আগের ৩১ শয্যার লোকবল দিয়ে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র একজন। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে বর্তমানে ১০ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মধ্যে এক ও ১৬ মেডিকেল অফিসারের মধ্যে কর্মরত আছেন ১০ জন। এতে কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। আর রোগীর চাপ সামলাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। অপারেশন না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সব যন্ত্রপাতি। সংকট সমাধানের দাবি স্বাস্থ্য বিভাগেরও।
বিজ্ঞাপন
রোগীদের অভিযোগ, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একবার চিকিৎসক আসেন রোগী দেখতে। চিকিৎসক বেশি থাকে আমাদের সুবিধা হতো। এ ছাড়া এই হাসপাতালে শিশু চিকিৎসক নেই। বর্তমানে শিশুরা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই প্রাইভেটে দেখাতে হচ্ছে।
কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মেহনাজ মুশতারী (গাইনি) বলেন, এখানে স্কিন, ব্রেস্টসহ সব ধরনের রোগী দেখতে হচ্ছে। এতে আমার যে রোগীর চাপ তার বাইরেও আরও রোগী দেখতে হচ্ছে। তবে তারপরও আমরা চেষ্টা করছি এগিয়ে যেতে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফয়সাল নাহিদ বলেন, চিকিৎসকসহ তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংখ্যা যদি বাড়ানো যায় তাহলে স্বাস্থ্যসেবার মান আরও উন্নত করা সম্ভব হবে।
বিজ্ঞাপন
জয়পুরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদগুলো পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে এ পদগুলো পূরণের চেষ্টা করছে। শিগগিরই আমরা চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসকে পেয়ে যাব।
১৯৮৪ সালে ৩১ শয্যা নিয়ে শুরু হয় জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম। ২০০৬ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও বাড়ানো হয়নি জনবল।
মন্তব্য করুন